প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:০৬

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে নাজমুল ইসলাম (৩০) নামে এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আশরতপুর ইদগাপাড়ায় ভাড়াবাড়ি থেকে রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সংলগ্ন আশরতপুর কোর্টপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়।

নিহত রিকশাচালক নাজমুল হোসেনের বাড়ি লালমনিরহাটের মুস্তফি এলাকায়। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই রিকশাচালক আশরতপুর ইদগাপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। তিনি আশরতপুর কোটপাড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী নাজমুল ইসলামের রিকশাটি ছিল গাইবান্ধার বাসিন্দা রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলীর। তিনি আশরতপুর কোর্টপাড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন। মঙ্গলবার রাতে ওই রিকশা নিয়ে হাসান আলীর সঙ্গে নাজমুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে হাসান আলী রিকশাচালক নাজমুলকে বেধরক মারধর করেন। এক পর্যায়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে তার (হাসান আলীর) ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যান কনস্টেবল হাসান আলী। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে পুলিশ সদস্য হাসান আলী। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের পার্কের মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত