পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৫০০মিটার অংশ দৃশ্যমান

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২০, ১১:৩৩

সাহস ডেস্ক

করোনা মহামারির সময়ও থেমে নেই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। দ্রুতগ‌তি‌তে গতি‌তে চল‌ছে পদ্মা সেতুর কাজ। পদ্মা বহুমূখী সেতুতে বস‌লো ৩০তম স্প্যান। এ নিয়ে সেতুর ৪ হাজার ৫০০মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে। এখন সেতুর আরও ১১টি স্প্যান বসানো বাকি।

শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয়েছে ৩০তম স্প্যান।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ূন কবীর জানান, শুক্রবার দুপুর ‌দেড়টার দিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেন দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি বহন করে জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাছে এনে নোঙর করে রাখা হয়।

শনিবার সকাল ৭টার দি‌কে স্প্যানটি খুঁটির ওপর ওঠানোর কাজ শুরু ক‌রেন পদ্মা‌সেতুর প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচা‌রিরা। সকাল ৯টা ৩৫ মি‌নি‌টের সময় জা‌জিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর খুঁটির ওপর সম্পূন্নভা‌বে স্থাপন করা হয় স্প্যান‌টি।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এই সেতুর ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্যে সারা দেশে সাধারণ ছুটির মধ্যেও ২৭ মার্চ থেকে আজ ৩০ মে পর্যন্ত ৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এই মহামারি না থাকলে মে মাসের মধ্যে ৩৪টি স্প্যান বসানো সম্ভব হতো। তবে করোনা দুর্যোগের মধ্যেও সেতুর ৪২টি পিয়ারের সব কটিতেই স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ২০টির মধ্যে ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এ ছাড়া নদীর মাঝখানে একটি স্প্যান এবং জাজিরা প্রান্তে ২০টির মধ্যে ১৯টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় এসেছে ৩৯টি। এর মধ্যে ৩০টি স্থাপন করা হয়েছে। ৯টি স্প্যানে মাওয়ায় কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ওয়েল্ডিং, অ্যাসেম্বলিং ও পেইন্টিংয়ের কাজ চলছে। বাকি দুটি স্প্যানের সব অংশসহ অন্য সব সরঞ্জাম ১৫ জুনের মধ্যে মাওয়া কন্সট্রাকশন সাইটে পৌঁছে যাবে।

প্রকৌশলীরা জানান, বর্ষাকাল এলে এই চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যায়। বর্ষার প্রভাব এরই মধ্যে পদ্ময় পড়তে শুরু করেছে। গত কয়েক দিনে নদীর পানির উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট বেড়েছে। তাই ২০ জুনের মধ্যেই সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬ নম্বর পিয়ারের ওপর অবশিষ্ট একটি স্প্যান (৩১তম স্প্যান) বসাতে হবে। এটি করা না গেলে বর্ষাকাল শেষে পদ্মা নদীর ২ কিলোমিটার অংশে ড্রেজিং করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত