উহান থেকে দেশে ফিরেছে ৩১৬ বাংলাদেশি, ৮ জনকে নেয়া হচ্ছে কুর্মিটোলায়

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৪২

সাহস ডেস্ক

 

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল কেন্দ্র চীনের উহান শহরে আটকা পড়া ৩১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট। রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হ্যান্ড স্ক্যানারের সাহায্যে ফ্লাইটের ভেতরে যাত্রীদের জ্বর আছে কি না, তা এখন পরীক্ষা করে দেখছেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজি ৭০০২ ফ্লাইট যোগে তাদের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আগত যাত্রীদের মধ্যে ৮ জনের জ্বর ১০০ ডিগ্রির ওপরে। এজন্য তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সরকারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চীন থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিশেষ বিমান যোগে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত আনার অনুমতি দেয় চীনের বিমান কর্তৃপক্ষ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ব্রিফিংয়ে জানান, সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রস্তুত। চীন সরকারকেও আমরা এটি জানিয়েছি। তারা অনুমতি দিয়েছে...এখন আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে পারব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফেরত আসতে যাওয়া কোনো বাংলাদেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে চীন সরকার নিশ্চিত করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ বিকাল ৫টার দিকে উহান রওনা হবে। এ ফ্লাইটে করে ৩৬১ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা হবে। ফ্লাইটটি শনিবার ভোরে ঢাকা পৌঁছাবে।

উহান থেকে ফেরত আসাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

আবদুল মোমেন জানান, ফেরত আসতে যাওয়া ৩৬১ জনের মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য, সেখানে দুটি শিশু রয়েছে। আর বাকিরা শিক্ষার্থী।

এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১৩ জনে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নতুন মারা গেছেন ৪৩ জন। বেশিরভাগ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রবেশ ও তার রাজধানী উহানে। তবে চীনের বাইরে এখনও কেউ মারা যায়নি।

বাংলাদেশিদের দেশে আনার পরের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ওরা আসলে আমরা ওদের আলাদাভাবে রাখব এবং পর্যবেক্ষণ করব। আমাদের হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে...এটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। আনার দায়িত্ব আমাদের আর তারপরের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০০-৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উহানে আছেন। হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল কেন্দ্র। চীন সরকার শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং আরও কয়েকটি শহরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।

বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশিদের সাহায্যে একটি হটলাইন নম্বর +(৮৬)-১৭৮০১১১৬০০৫ খুলেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত