তথ্য যাচাই-বাছাই না করে কোনকিছু শেয়ার দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:০৫

সাহস ডেস্ক

কোনো গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সত্য তথ্য না জানা বা যাচাই-বাছাই না করা পর্যন্ত শেয়ার দেবেন না। এতে দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি ও ব্যক্তির ক্ষতি হয়। গুজবে কান না দিয়ে সে বিষয়ে আগেই কোনও মন্তব্য না করে তা যাচাই করা উচিত। সেটা আমাদের সমাজ ও দেশ সবার জন্যই মঙ্গল।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে সম্মাননা প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বাটন টিপে ‘আমার সরকার’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলেছিলাম, এটা আজ বাস্তব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ আর কল্পনা নয়, এটি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমরা স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি, যার কারণে দেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এখন সবাই ভোগ করছে। এর মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। দেশের বেশিরভাগ জায়গায় ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি রয়েছে। এছাড়া দুর্গম এলাকায়ও ব্রডব্যান্ডের কানেক্টিভিটি দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে সে কর্মসূচি। পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, ৯০ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় তখন একটি মোবাইল ফোনের দাম ছিল এক লাখ টাকা। বিএনপির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানের একক কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা করার ফলে মোবাইলের দাম কমেনি। তখনবার সরকারের অজ্ঞতার কারণে ব্রডব্যান্ড নিতে পারেনি। বিশাল সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি কোম্পানিকে মোবাইল ফোন বিক্রির অনুমতি দেয়া হলো। প্রতিযোগিতার কারণে মোবাইল ফোনের দাম ও কল চার্জ কমতে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীকে আউটসোর্সিং বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের আওতায় লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় প্রফেশনাল আউটসোর্সিং ট্রেনিং প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে তরুণ-তরুণীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আউটসোর্সিং বিষয়ে প্রকল্পভিত্তিক কাজ করার সুযোগ থাকবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এম জিয়াউল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন।

ডিজিটাল প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় অনুষ্ঠানে ১৫ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত