ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম এবং শুক্রবারকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন এরশাদ

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৯, ১২:২৭

সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে টানা নয় বছর দেশ পরিচালনা করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার এই দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলে দেশের উন্নয়নে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলিম, অধিকাংশ নাগরিকের ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়টি বিবেচনা করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার পর বিশ্বের বুকে দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পায় বাংলাদেশ। তবে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেয়াটা খুব সহজ কাজ ছিল না।

স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সংবিধান রচনা করা হয় ১৯৭২ সালে। তখন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের কথা উল্লেখ না থাকায় ১৯৮৮ সালের ৫ জুন চতুর্থ জাতীয় সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী পাস হয়। সেই সংশোধনীতে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সংশোধনীতে সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের পরেই ২(ক) নম্বর অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে।’

১৯৮৮ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণায় মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এছাড়াও সরকারিভাবে মসজিদের বিদ্যুতের বিল মওকুফ ও শুক্রবারকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণার কারণে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে ক্রমেই প্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

১৯৮৮ সালে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার পর ওই বছরই এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে কয়েকজন নাগরিক রিট আবেদন করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে বিভিন্ন উত্তাপ ছড়ালেও ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ মহামান্য আদালত রিটটি খারিজ করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত