ধারণক্ষমতা, কারাবন্দি ও কারাচিকিৎসকের সংখ্যার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৯, ১৭:৪৩

সাহস ডেস্ক

দেশের ৬৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা, কারাবন্দি ও কারাচিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (২৩ জুন) এই সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তাছাড়া, একইসঙ্গে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কারা-মহাপরিদর্শককে এই বিষয়ে তালিকা তৈরি করে তা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী শাম্মী আকতার ও রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এছাড়া দেশের কারাগারগুলোতে বন্দিদের জন্য মানসম্মত থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি শূন্য পদগুলোয় কারা চিকিৎসক নিয়োগ না দিয়ে বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে জবাব চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী জে আর খান রবিন। কিন্তু সে নোটিশের কোনও জবাব না পাওয়ায় গত মার্চ মাসে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বলা হয়, সারাদেশে মোট ৬৮টি কারাগার রয়েছে। এরমধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয়, বাকি ৫৫টি জেলা কারাগার। এসব কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৬৬৪ জন। তবে বর্তমানে সাধারণ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ অর্থাৎ ৮৯ হাজার ৫৬৪ আসামি কারাগারে আছে।
এছাড়া, ১২৯ জন কারা চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৯ জন কর্মরত রয়েছেন। অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশের কারণে কয়েদিরা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।

সাহস২৪.কম/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত