চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেলে পড়েছে পাকা ধান, আমের উপকার

প্রকাশ : ০৫ মে ২০১৯, ১১:৪৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ফণী আতংক কেটে গেছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে মানুষ। স্বাভাবিক হয়ে আসছে জনজীবন।

জেলার নীচু অঞ্চলগুলোতে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শনিবার (৪ মে)  রাত পর্যন্ত জানমালের তেমন কোন ক্ষতির কথা জানা যায়নি। শনিবার দুপুর থেকেই দেখা মিলেছে সূর্যের। 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত শুক্রবার (৩ মে) ও শনিবার প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। মৌসুমের সর্বোচ্চ এই বৃষ্টিপাতের সঠিক পরিমান জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় জানা সম্ভব না হলেও কৃষি বিভাগ সূত্রে এর আনুমানিক পরিমান ৯৫-১২০ মিলিমিটার বলে জানা গেছে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসরাণ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালনকারী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন অপর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ আবু আল আমিন জানান, এ মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু এই বৃষ্টিতে ৪ শতাংশ পর্যন্ত ধান হেলে পড়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে না বলেই তাদের দাবী। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমান বাড়তে পারে।  অপর দিকে জেলার প্রধান অর্থকরী কৃষি পণ্য আমের জন্য এই বৃষ্টি উপকার বয়ে এনেছে বলে জানান তারা।

অবশ্য কৃষকরা বলছেন, ফণীর বৃষ্টিতে ও বাতাসে হেলে পড়ায় ধানের ক্ষতি হবে। জেলার অধিকাংশ জমির  ধান পাকা ও কাটার পর্য়ায়ে রয়েছে। এদিকে প্রত্যাশিত বৃষ্টির সাথে বড় ধরণের ঝড় না হওয়ায় কিছু আম গাছ থেকে ঝরে পড়লেও এই বৃষ্টি আমের জন্য উপকার বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন আমচাষীরা। সামনে মে মাসের শেষ  (জেষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি) থেকেই বাজারে আসতে শুরু করবে আগাম জাতের আম।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত