বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে রোপনকৃত আম গাছটির একি দশা!

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:০০

তপু আহম্মেদ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে রোপনকৃত আম গাছের বেশ কয়েকটি ডাল কেটে বেহাল দশা করা হয়েছে। উপজেলার দোখলা রেঞ্জ অফিসের নিকটে রেস্ট হাউজের পাশে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত আমগাছটির ডালপালা কেটে বিক্রি করা হয়েছে। 

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মানিক মিয়া তার লোকজন দিয়ে গাছটির ডাল কেটে বিক্রি করেছেন। ঐতিহাসিক ওই গাছটির ডাল কাটায় মধুপুরের সব মহলে তোলপাড় চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মধুপুরের অরণখোলা মৌজায় সংরক্ষিত বনভূমিতে ১৯৬২ সনে নির্মিত বন বিশ্রামাগারটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর পূণ্য স্মৃতিবহ। ১৯৭১ সনের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সর্বশেষ এই বন বিশ্রামাগারে অবস্থান করেছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধান রচনার সাথেও এই বন বিশ্রামাগারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে স্মৃতি ফলক দিয়েছেন বন বিভাগ।

স্থানীয় দোকান্দার মো. খোরশেদ আলম (৬০) বলেন, দীর্ঘ ১৫-২০ বছর যাবৎ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানের ৫০-৬০ গজের মধ্যে দোকানদারী করি। পূর্বশুরীদের মুখে শুনেছি বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে ঔই আমগাছটি রোপণ করেছিলেন। আমগাছের ডাল এভাবে কাটায় খুব কষ্ট পেয়েছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী জানান, এ ব্যাপারে শীঘ্রই স্থানীয় এম.পি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মানিক মিয়া জানান, বন বিশ্রামাগারটি সংস্কার করা হবে। ঔই স্তানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ এবং ফুলের বাগান করা হবে। এই জন্য ডিএফও স্যার শ্রমিকদের গাছের ছোট ছোট ডাল ও পাতা কাটতে বলেছিলেন। কিন্তু ঔইদিন আমি টাঙ্গাইলে থাকায় শ্রমিকরা কিছু কাঠের লোভে পড়ে বড় কয়েকটি ডাল কেটে ফেলেছে।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আহমেদ পলি জানান, ঔই স্তানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ করার জন্য নাকি ছোট কয়েকটি ডাল কাটার কথা ছিল, কিন্তু ভুলে শ্রমিকরা বড় ডাল কেটে ফেলেছে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত