নুসরাত হত্যা: কাউন্সিলর মাকসুদ গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৯

সাহস ডেস্ক

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২ নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের পর সকালে তাকে পিবিআই এর ফেনী জেলা শাখার কর্মকর্তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, একই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেন।

ফেনী পিবিআই এর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামি হাতে পেয়েছি। পিবিআই ঢাকা মেট্রো ও ফেনী যৌথ অভিযানে তাকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মাকসুদ আলম সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্যও ছিল মাকসুদ। এই মাদ্রাসায় পড়তেন নুসরাত জাহান রাফি।

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনার পর ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোনাগাজী থানায় আরেকটি মামলা (নম্বর ১০) করেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত