পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বৃদ্ধির তাগিদ স্পিকারের

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৭

সাহস ডেস্ক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী টেকসই ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বৃদ্ধির উপর তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি দিল্লীতে আইএমএফ, সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ট্রেনিং এ্যান্ড টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স সেন্টার (আইএমএফ-এসএআরটিটিএসি) আয়োজিত “রিপিং দ্যা ডিভিডেন্ডস অব পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক সেশনে বক্তৃতাকালে এ তাগিদ দেন।

সংসদ সচিবালয়ের আজ বুধবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসময় স্পিকার বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অন্তভূক্তির ক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে মেগা প্রকল্পগুলো পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন খাতে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো দরকার। এটা অবশ্যই জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণসহ জনসেবা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের ক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

শিরীন শারমিন বলেন, ইতিবাচক ফলাফল পেতে দক্ষতার সাথে পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা জরুরী। স্থিতিশীলতা প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা। আর এটা সুচারুভাবে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজ করার উপর নির্ভর করে।

তিনি আরো বলেন, সরকার ও সংসদকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পাবলিক ইনভেস্টমেন্টকে বিবেচনা করতে হবে। প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট নিরাপদ করতে আইএমএফ মডেল অনুসরণ করতে আহবান জানান তিনি।

স্পিকার বলেন, আইএমএফ এর ২০১৬ সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২য় দ্রুততম বর্ধনশীল দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১শতাংশ। রপ্তানী, রেমিট্যান্স, কৃষি খাতই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মূল। ঔষধ ও চামড়া শিল্প, তৈরী পোষাক শিল্প, পাট শিল্প, জাহাজ শিল্প এবং তথ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দারিদ্রের হার ৪০শতাংশ থেকে ২২শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী ক্ষমতায়নসহ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। বিগত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২০০মেগাওয়াট থেকে ২০হাজার মেগাওয়টে উন্নীতকরণ, পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে, নির্মাণ করা হচ্ছে মেট্রোরেল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১সালে মধ্যম আয়ের দেশে, ২০২৪ সালে পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

সার্টটেক এর পরিচালক সুখেন্দার সিং এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিয্ক্তু আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি র‌্যাগনার গুডমুন্ডসন।

অনুষ্ঠানে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: আব্দুস শহীদ, সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: রুস্তম আলী ফরাজী, সাগুফতা ইয়াছমিন, আনোয়ারুল আবেদীন খান এবং আহসানুল ইসলাম (টিটু) অংশগ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত