খরচ কমাতে আসছে বিমান বাহিনীর নতুন ইউনিট

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪০

সাহস ডেস্ক

বিমান বাহিনীর হিসেব অনুযায়ী, এই খাতে বর্তমানে প্রতি বছর যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, প্রায় তার অর্ধেক খরচেই এই ইউনিট পরিচালিত হবে। আকাশ প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা সব ধরনের গ্রাউন্ড রাডার ইকুইপমেন্ট রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও পুনঃমেরামত কাজের জন্য ‘২০৭ মেইনটেন্যান্স, রিপিয়ারিং অ্যান্ড ওভারহেলিং (এমআরও)’ ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। টাঙ্গাইলের পাহাড়কাঞ্চনপুরের এই ইউনিট গঠন করা হচ্ছে ১৯০ জনবল নিয়ে। ইউনিটে থাকবে ১৭টি যানবাহন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, এই খাতে খরচ কমিয়ে আনা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ইউনিট গঠনের প্রস্তাবও করা হয়। বিমান বাহিনীর এই প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে গত ১১ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য গত ১ নভেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপন করে। কমিটি প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয়। সূত্র: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘বিমান বাহিনীর প্রস্তাবটি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ কমিটির সুপারিশসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ফাইলটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানায় প্রশাসনিক উন্নয়ন ও সমন্বয়-১ অধিশাখা।

বিমান বাহিনীর প্রস্তাবে ২০৭ এমআরও ইউনিট গঠনের জন্য ১৯০টি পদ রাখা হয়েছে। এসব পদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ক্যাপ্টেন একজন, উইং কমান্ডার চারজন, স্কোয়াড্রন লিডার সাতজন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট দুইজন, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার চারজন, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ১২ জন, ওয়ারেন্ট অফিসার ২৫ জন, সার্জেন্ট ও নিম্ন পদে ৭৯ জন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একজন, নির্বাহী প্রকৌশলী দুইজন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী একজন ও সহকারী প্রকৌশলী দুইজন। এছাড়া অন্যান্য পদসহ মোট ১৯০ জন লোকবল থাকবে ইউনিটে। ইউনিটে জিপ, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট যানবাহন থাকবে ১৭টি।

প্রস্তাবে বলা হয়, এই ইউনিটের জন্য প্রতি বছর মোট ব্যয় হবে আনুমানিক আট কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার ২০৩ টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতা, পোশাক, রেশন ও চিকিৎসার জন্য (আবর্তক) ব্যয় হবে আনুমানিক তিন কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৫ টাকা। আর জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ বিমান, মুখ্য যন্ত্রপাতি ছাড়াও অন্যান্য সরঞ্জামাদি, অফিস, বাসস্থানসহ (অনাবর্তক) ব্যয় হবে চার কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৮ টাকা। এই টাকা বিমান বাহিনীর বাজেট বরাদ্দ থেকে খরচ করা হবে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এই খাতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয় প্রতি বছর। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়েছে ১২৫ কোটি ৭০ লাখ এক হাজার ৪৩৮ টাকা। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে এই ব্যয় অনেক কমে যাবে।

বিমান বাহিনীর এই হিসেব অনুযায়ী, এই খাতে বর্তমানে প্রতি বছর যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, প্রায় তার অর্ধেক খরচেই এই ইউনিট পরিচালিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত