উন্নয়নশীল বিশ্বের শক্তিশালী হাতিয়ার তথ্য-প্রযুক্তি

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৫৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নয়নশীল বিশ্বের শক্তিশালী হাতিয়ার তথ্য-প্রযুক্তি। অনেক উন্নয়নশীল দেশ এই হাতিয়ার ব্যবহার করে এগিয়ে গেছে।

ই-বিজনেস, আইটি/ আইইএস, সফটওয়্যার রফতানি এবং আইসিটি সর্ম্পকিত বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন বাংলাদেশ গড়ার যে সফল লক্ষ্যমাত্রায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সেখানে তথ্য-প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ÔÔThe International Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE 2017)’’ শীর্ষক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।   

চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ এইচ. রশীদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মি. স্বপন কুমার সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়েটের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোবাইদা আখতার ও ইশতিয়াক রেজা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম আরো বলেন, বাংলাদেশে এখনো ৬০ ভাগেরও বেশি মানুষ গ্রামে বাস করেন। এখানেই বেশি থাকে আমাদের সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত ও প্রান্তিক জনসাধারণ। তাদের  জন্য তথ্য-প্রযুক্তিকে আরো সহজলভ্য করে তুলতে হবে। যদিও মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তি এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চলেও বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল দেশ গঠনের অগ্রযাত্রায় আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। যা জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ও উন্নত দেশ গঠনে অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে।

তিনদিনব্যাপী এই আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে (যেমন-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত) প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে  ১০ জন কী-নোট স্পিকার এবং ইনভাইটেড স্পিকার। কনফারেন্সের জন্য মোট ৫৮৫টি পেপার জমা পড়ে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ২০৭টি পেপার উপস্থাপনের জন্য মনোনীত হয়। এতে কী-নোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ এইচ. রশীদ, ইন্ডিয়ান স্টাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তন পরিচালক শঙ্কর কে. পাল এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক এন. এইচ. সিং, জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তেতসুয়া শিমামুরা (Tetsuya Shimamura), নেদারল্যান্ডস এর ইউনিভার্সিটি অব টুয়েন্ট এর অধ্যাপক এন্টন নিজ্হট (Anton Nijholt), যুক্তরাজ্যের উলস্টার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাজমুল সিদ্দিকী প্রমুখ।

কনফারেন্সে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার সায়েন্স, টেলিকমিউনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিক সায়িন্টিস্ট, রিসার্চার, স্কলারস, ডিসিশন মেকার্সগণ অংশ নিচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত