সকল সামরিক ক্যুদ্যেতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০১৬, ২৩:৫৯

গত ১৩ জুন সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম টিএসসিতে তাঁর নিজ সংগঠনের সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে মহাজোটের শরিক দল জাসদকে নিয়ে বেশ তীর্যক মন্তব্য করেছেন। 

মোটাদাগে তাঁর বক্তব্য পঁচাত্তর পট পরিবর্তনের জন্য এককভাবে জাসদকে দায়ী করে, আওয়ামী লীগের তরফ থেকে যে প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো হয়, তার বাইরে কিছু নয়। জনাব আশরাফ চর্বিত চর্বন করেছেন মাত্র।

“বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে ছাত্রলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জাসদ গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে।” সৈয়দ আশরাফের এ বক্তব্য সত্যের লেশমাত্র নাই। 

ছাত্রলীগে ভাঙনের জন্য শেখ ফজলুল হক মনি ও বঙ্গবন্ধু নিজেই দায়ী। স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সমাজের অগ্রসর অংশ ছাত্র সমাজের মানষ কাঠামোতে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে সেটি পাঠ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। এর সাথে যোগ হয় নিজ ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা। ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বিদায় নেবার পরে যতবারই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেবার চেষ্টা করেছেন শেখ মনি, ততবারই ব্যর্থ হয়েছেন সিরাজুল আলম খানের জনপ্রিয়তার কাছে। ১৯৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবেই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেবার চেষ্টা করে গেছেন শেখ মনি। 

ছয় দফার পক্ষে ও বিপক্ষে থাকাটাই ছাত্রলীগের ভাঙন তরান্বিত করে। শেষ পর্যন্ত ১৯৬৯ সালের ২৭ জুন ছাত্রলীগের কমিটিতে তোফেয়েল আহমেদ সভাপতি ও আসম আব্দুর রব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর একটি পাল্টা কমিটি গঠন করেন শেখ মনি, বাংলা ছাত্রলীগ নামে যা পরিচিতি পায়। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আল মুজাহিদী ও আব্দুল মান্নান। এ ছাত্রলীগ কল্কি না পেয়ে আতাউর রহমানের জাতীয় লীগে বিলীন হয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য শেখ মনি নাশতার টেবিলে শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরিত্রাণ পান।
১৯৬৯ ও ৭০ সালের প্রতিটি রাজনৈতিক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বাধীন নিউক্লিয়াস কমিটি। যুব্ধেও নিজেদের নামে বিএলএফ তৈরী করেছেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সংহত রাখার জন্য। যা পরে মুজিব বাহিনী নামে পরিচিতি পায়। বস্তুত ৬৯/৭০ এর ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ছাত্রলীগের র্যা ডিক্যাল পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন বঙ্গবন্ধু কিছুটা মেনে নিয়েছিলেন। শেখ মনি কিছুতেই মানেননি।

১৯৭২ সালের ৩ জুনের ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন ও এ নির্বাচনের ৬ মে’এর প্রজেকশন মিটিং থেকেই ছাত্রলীগের ভাঙন দেখা দেয়। শুরু হয় বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কারের খেলা। দু ভাগে বিভক্ত ছাত্রলীগ নির্বাচনে অংশ নেয়। সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বাধীন অংশ ডাকসুর কয়েকটি পদ সহ চৌদ্দটিতে জয়লাভ করে। ছাত্র ইউনিয়ন চারটি ছাড়া ডাকসুর সবকটি পদ জিতে নেয়। শেখ মনির নেতৃত্বাধীন অংশ আটটি পদে জয় লাভ করে। দু পক্ষই শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে তাঁর সমর্থন প্রত্যাশা করেন। এই ডামাডলের মাঝে ৭২এর ২১ ও ২৩ জুলাই ছাত্রলীগের সম্মেলন ডাকে দু পক্ষই। সিরাজুল আলম খানের পক্ষ পল্টন ময়দানে ও শেখ মনির পক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়। দু পক্ষই আশা করেছিলেন শেখ মুজিব তাঁদের সম্মেলন এ যাবেন। সিরাজুল আলম খান সমর্থিত গ্রুপটির পক্ষে ৯০ শতাংস ছাত্রদের সমর্থন আছে বলে তিনি দাবি করেছিলেন।

শেখ মুজিব তাঁর ভাগ্নে শেখ মনির আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজির হয়েছিলেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় শেখ মুজিবের এ অবস্থান তাঁকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করেছিল। ছাত্রলীগের অগ্রসরমান অংশটির সাথে শেখ মুজিবের বিচ্ছেদ তাঁকে কোটারি গ্রুপের হাতে বন্দি করে ফেলেছিল।

সিরাজুল আলম খানের সমর্থিত ছাত্রলীগ যাত্রা শুরু করতেই নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় যা পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল রুপে দেখা দেয়। 

২৬ মার্চ দেয়া শেখ মুজিবের ভাষণের একটি অংশ জাসদের শ্লোগান হিসাবে নেয়া হয়, ‘আমাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’। যেখানে তিনি বলেছিলেন ‘আমার সরকার অভ্যন্তরীণ সামাজ-বিপ্লবে বিশ্বাসী। পুরোনো সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। অবাস্তব আস্তিকতা নয়, আমার সরকার বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রবর্তনে প্রতিজ্ঞাবব্ধ। দেশের বাস্তব প্রয়োজনে প্রেক্ষিতে পুরোনো সামাজিক কাঠামোকে ভেঙে দিয়ে নতুন সমাজ গড়তে হবে।’

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য অনুসারে ছাত্রলীগ বিচ্ছিন্ন করেছিল কারা? যারা সংখ্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তাঁরা করেছিল? নাকি শেখ মুজিব তাঁর নিজ ভাগ্নের প্ররোচনায় একটি পকেট কমিটি চেয়েছিলেন ছাত্রলীগের জন্য। যাঁরা তাঁর কাজের জন্য কোন রকম হুমকি হবে না।

সৈয়দ আশরাফের আরেকটি কথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভিন্ন জায়গায় প্রবাহিত করা। এখানেও মুজিব সরকারের কাজে প্রশ্ন উঠবে পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্যে অনুগত থাকা সেনাদের তিনি সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রতি অনুগত থাকা কর্মকতাদের তিনি বহাল করেছিলেন। দমন পীড়নের নামে ৭৪ এ বিশেষ কালাকানুন করেছিলেন। সিপিবি ও ন্যাপকে সাথে নিয়ে তিন দলীয় ঐক্যজোট করেছিলেন পরে তা বাকশালে রুপান্তরীত হয়। পারমিট প্রথার নামে দলীয় লোকজনের হাতে ব্যবসা তুলে দিয়ে কালোবাজারীর পথ সুগম করেছিলেন।

রাজনৈতিকভাবে এর বিরোধিতা করা কি অন্যায়? এই বিরোধিতার মাশুল জাসদ ভালভাবে দিয়েছে। জাসদের ২০,০০০ কর্মীর লাশ জাসদ কাঁধে নিয়েছে। জাসদ একটা পর্যায়ে ক্যুদ্যতা পাল্টা ক্যুদ্যেতার অংশ নিয়েছে সফল হতে পারেনি। ৭ নভেম্বর’এর প্রাণভোমরা কর্ণেল তাহেরের ফাঁসী হয়েছে। সামরিক জান্তার সাথে জাসদ হাত মেলায়নি। জান্তা জিয়ার বিরোধীতায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সাথে থাকায় জাসদ প্রথম ভেঙেছে। সেই ভাঙন থেকে একজন বহু ঘাটের জল খেয়ে আওয়ামী লীগের একজন হয়েছেন তিনি মাহমুদুর রহমান মান্না। এখন যিনি একটি ঠুনকো মামলায় জেলে আটক। জাসদ ক্ষমতার কাছাকাছি গিয়ে ক্ষমতা না নিতে পারার দায়ে মাশুল দিচ্ছে, কিন্তু আপোষ করেনি।

সৈয়দ আশরাফ আরও যা বলেছেন “তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হত,” কিভাবে এ পরিবেশ জাসদ তৈরি করলো এর ব্যাখ্যা সৈয়দ আশরাফ সাহেব দেননি। রাজনৈতিক বিরোধিতা করা যাবে না, রকটি রাজনৈতিক দল কোন কর্মসুচী দেবে না! বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিবেশ জাসদ করেছিলে বলে যদি তিনি মনে করে থাকেন, আপনারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করলেন, কোথাও কোন আদালতে একটা জোর গলায় দাবি করলেন না এ হত্যাকান্ডে জাসদ জড়িত!

তাহলে আমার প্রস্তাবটি হচ্ছে ৭৫ এর বিয়োগান্তক ঘটনাটিকে নিয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হোক। ন্যায় বিচারের স্বার্থেই এটি করা হোক, নইলে ভবিষ্যত প্রজন্ম মনে করবে ভুল মানুষগুলোকে ফাঁসী দেয়া হয়েছে।

সৈয়দ আশরাফ আরও যা বলেছেন “মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। কিন্তু জাসদের নেতা-কর্মীরা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।”

ছাত্রলীগের একটি অগ্রসর অংশ জাসদ করেছিলেন, শেখ মুজিবের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ রাখার স্বার্থে মুজিব বাহিনী বানিয়েছিলেন। এ অংশটি কোনভাবে মুক্তিযুব্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিল এবং বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই জনাব আশরাফ? ইতিহাস কি তা বলে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সৈয়দ আশরাফ যে কথাটি টিএসসিতে দাঁড়িয়ে বলেছেন তা একেবারেই হাস্যকর ও যুক্তিহীন। তিনি জাসদের ধারক-বাহকদের শতভাগ ভণ্ড বলে উল্লেখ করেন এবং সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে, যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে।’

সৈয়দ আশরাফকে মনে রাখতে হবে শ্যামলা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে জামাত বিএনপির ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও রাজনৈতিক বিরুব্ধাচরণের প্রতিবাদে, একজন হাসানুল হক ইনুর দল জাসদ এবং ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন স্নো পাঊডার আলতা হিসাবে কাজ করেছেন। শ্যামলা শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে এমনি এমনি এ সমাজে ভিত গড়েননি, কিছুটা উপাদান এদেরও ছিল। যখন শেখ হাসিনার বোনও তাঁর পাশে দাঁড়াননি, তখন একজন হাসানুল হক ইনু ও তাঁর দল এবং রাশেদ খান মেনন ও তাঁর দল শেখ হাসিনার পাশে ছিল। আপনার টিকিটিরও দেখা তখন মেলেনি জনাব আশরাফ।

সৈয়দ আশরাফ ভদ্রতার লেশমাত্র রাখেননি মন্ত্রীসভায় তাঁর সহকর্মী সম্পর্কে বলেছেন হাসানুল হক ইনু মন্ত্রীসভায় থাকলে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তিনি যদি এটি মনেই করেন ইনুর মন্ত্রী সভায় থাকলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাঁর একটি ব্যাখ্যা দেয়া দরকার। রাষ্ট্রের জন্য একজন হাসানুল হক ইনু কতটা বিপদজনক?

ওয়ান ইলেভেনের সময় সৈয়দ আশরাফ এ দেশের রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। এ দেশের কোন রাজনৈতিক সংগ্রামে আপনাকে থাকতে হয়নি। কোন ধরণের জেল জুলুম আপনাকে হজম করতে হয়নি। কোন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে হাঁটতে হয়নি। ক্ষমতার মসনদে বসে গেছেন অবলীলায়। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের জন্য আপনি ও আপনার নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন। সামরিক ক্যুদ্যেতা বাংলাদেশকে একদল মেধাহীন রাজনীতিক উপহার দিয়েছে আপনি তাঁর একজন। ১/১১’এর পরে আপনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেন। তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলে আব্দুল জলীল। তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি এবং সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিদায়ও করা হয়নি। রাজনীতিতে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ থাকলে এ কাজ কেউ করে না। আপনি সেটি করেছেন, আপনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বনেছেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আব্দুল জলীল উপস্থিত হয়ে মঞ্চে উঠলেও আপনাকে দাঁড়িয়ে সৌজন্য প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি।

আপনার মুখ থেকেই বের হয়েছিল সরকার যুব্ধপরাধীদের একটি প্রতিকী বিচার করবে। যার পরিসমাপ্তির জন্য একটি গণআন্দোলনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল, জনতা আপনার মুখে দিকে তাকিয়ে থাকেনি, তাঁর কাজ সে ঠিকই করেছিল। 

সৈয়দ আশরাফ বলেছেন জাসদের কর্মীরা ভন্ড। এ দেশের কোন ক্ষমতাবলয়ে জাসদের কোন কর্মী ছিলনা তাঁদের ভন্ডামি কি দেখলেন জনাব? প্রতিটি রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামে জাসদ ছিল, জাসদের প্রতিটি কর্মী সেক্যুলার রাজনীতি করে গেছেন আজীবন। এক দু’জনের হয়ত পদস্খলন ঘটেছে, এর দ্বারা সমগ্র জাসদ কর্মীকে আঘাত করা কোন রাজনীতির মধ্যে পড়ে জনাব আশরাফ?

আপনার দলের এ সময়ের শাসনকালে কতজন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে জনাব আশরাফ সে খবর আপনার কাছে আছে? ব্যংকের টাকা লোপাট হয়ে গেছে। আপনার অর্থমন্ত্রী বলেন, পুকুর চুরি নয় সাগর চুরি হয়েছে! 

ছাত্রলীগের যে সভায় আপনি হাজির হয়েছেন উপদেশ বিতরণ করতে, তাঁদের অনেকেই ছাত্রলীগ করে ব্যাংকের পরিচালক বনে যাবে, বাবার নামে টিন নং না থাকলেও। আর আগের কমিটির একজন তাই বনেছেন! নাম দেখানো কাউন্সিল করে একজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানান হয়, তারপর চলে কমিটির সদস্য বেচাকেনা, চলে মারপিট, পত্রিকার পাতায় ছাপানো হয় নানান কেলেংকারীর খবর কমিটি নিয়ে। গণতান্ত্রিক চর্চাবিহীন যে সমাজ আপনাদের হাত ধরে তৈরী হচ্ছে সেখানে জাসদ কর্মীদের ভন্ড বলা আপনার মত উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতার পক্ষেই মানায়।

একজন রাজনৈতিক দাস সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন যেখানে তাঁর সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ন্যস্ত। মুখ ফুটে শেখ হাসিনা না করে দিলেই বাংলার আকাশে বাতাসে একজন সৈয়দ আশরাফকে রাজনীতির মাঠে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাঁর মুখে বাগাড়ম্বর বামণ হয়ে চাঁদের পানে হাত বাড়ানোরই সামিল আমরা সকল সামরিক ক্যুদ্যেতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।

জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আপনি তা চান কি?

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

লেখকদের নামঃ