দুইজনের সঙ্গম নয়, একজন আরেকজনকে খাচ্ছে মাত্র

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০১৬, ১৫:২১

(১) 
কয়েক বছর আগে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী আমাকে একটা কিন্ডল কিনে দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রীর দয়ার শরীর, তিনি মাঝে মাঝেই আমাকে এটা সেটা খরিদ করে দেন। এই তো কয়েকদিন আগে কয়েক জোড়া জামা জুতা লুঙ্গি এইসব কিনে দিয়েছেন। কিন্ডলটা পেয়ে কিছুদিন খুব আরামে ছিলাম। অজস্র বই সেখানে জমা করে কিন্ডল সাথে করে নিয়ে নিয়ে ঘুরি। সুযোগ পেলেই খুলে এক দুই পাতা পড়ি। মনে মনে বেশ একটা ইয়ে চলে এলো, এইবার আমি হাজার হাজার সব বই পড়ে উল্টে ফেলবো। ইমতিয়াজ মাহমুদের পণ্ডিত হওয়া আর ঠেকায় কে?

কিছুদিন বেশ চললো। একদিন কিন্ডল গেল বন্ধ হয়ে। বন্ধ হয়ে গেল তো গেল, আর অন হয়না। কিন্ডলের গয়া সুইচ ফুইচ খুব বেশী নাই- দুইটা মাত্র। সেই দুইটা বোতাম নানাভাবে টিপাটিপি করি, চার্জারের সাথে লাগিয়ে রাখি অনেকক্ষণ, কতো কিছু যে করে দেখলাম, কিন্ডল আর ঠিক হয়না। একবার ভাবলাম কাউকে দিয়ে বিদেশে কিন্ডলটা সারাই করতে পাঠাবো কিনা। লজ্জার কারণে পাঠানো হলোনা। লজ্জা দুই কারণে। প্রথমত, কাকে আবার গিয়ে বলবো যে ভাই আমার কিন্ডলটা নিয়ে যান, মেরামত করে নিয়ে আসবেন। যে যার কাজে বিদেশে যায়, আমার জন্যে কাউকে দৌড়াদৌড়ি করতে বলতে লজ্জা লাগে না?

তারউপর আরেকটা লজ্জার কারণ আছে। কিন্ডল ভর্তি সব পাইরেটেড সফট কপি। বাংলায় বললে চুরি করা বই। অল্প কিছু আছে- অনেক পুরনোগুলি, সেগুলির তো কপিরাইট উঠে গেছে। বাকি সবই চোরাই বই। আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল চুরি করা যেসব বইয়ের সফট কপি পড়ছি এগুলির কোনটাতেই হয়তো গণ্ডগোলটা হয়েছে। কিন্ডল তো আমাজানের যন্ত্র, ওরাই হয়তো যন্ত্রের ভিতরে কোন কায়দা করে রেখেছে, চোরাই বই ঢুকা মাত্র ঘ্যাচাং করে যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে। আফটার অল, আমাজান তো এইটা বানিয়েইছে যেন ওদের কাছ থেকে সকলেই ই-বই কিনতে পারে। আর আমি তো সব চোরাই বই দিয়ে পুরা যন্ত্র ঠেসে রেখেছি। এখন আমি যার কাছে মেরামত করতে পাঠাবো ওরা তো কিন্ডল খুলে দেখবে, ওড়া যদি বলে যে চোরাই বইয়ের কারণে যন্ত্র বন্ধ হয়েছে, সে তো বিরাট লজ্জার ব্যাপার হবে আরকি।

দুই নম্বরি কাজ করলে শান্তি নাইরে ভাই। আমি চোরাই বই ভর্তি বিকল কিন্ডল ঙয়ে ঘুরে বেড়াই, আর মাঝে মাঝে অন করার চেষ্টা করি। মনে ক্ষুদ্র আশা, যদি হঠাৎ ভাল হয়ে যায়। কিন্ডল আর সাড়া দেয়না।

সেই কিন্ডল আমাদের নির্ঝরের কাছে দিয়ে এসেছি। গোপনে গোপনে বলে এসেছি যে চোরাই বইয়ের ব্যাপারটা যেন একটু ইয়ে করে। নির্ঝরও এই যন্ত্র ঠিক করতে পারেনি। শেষে এইবার আমার বড় ভাই, তিনি একজন তড়িৎবণিক এবং তড়িৎবণিকদের নেতা, তাকে সলজ্জ অনুরোধ করেছি, আমার জন্যে আরেকটা কিন্ডল যেন কিনে আনেন।

(২) 
কিন্ডল না থাকলে কি হবে। চোরাই বই তো রয়েই গেছে। সেগুলি আইপ্যাডে পড়া যায়, কম্পিউটারে তো পড়া যায়ই। ফোনেও পড়া যায়। কিন্তু এইসবে পড়ে আরাম পাওয়া যায়না। আইপ্যাড বেশ ভারি। আইপ্যাড মিনিটা একটু ইয়ে আছে যদিও, কিন্তু আমাদের বাসায় যে আইপ্যাড মিনিটা আছে সেটা আমার দখলে পাইনা বললেই চলে। তবু বই জমাই। ডাউনলোড করে রাখি। মাঝে মাঝে এক দুই পাতা পড়ি, বেশিদূর অগ্রসর হতে পারিনা। ফেমিনিস্ট লেখকদের অনেকগুলি বই জড়ো করেছি পড়বো বলে। এদের মধ্যে নাওমি উলফ নামে এক লেখকের দুইটা বই আছে- The Beauty Myth আর Vagina। আরেকজন লেখকের দুইটা বই আছে, একটার নাম হচ্ছে 'সিন্ডেরেলা কি করে আমার কন্যাকে খেয়ে ফেললো' বা এইরকমই একটা না, আরেকটা সাম্প্রতিক বই একই বিষয়ের সিক্যুয়াল বলা যায়। আর আন্দ্রিয়া ডরকিনএর এক গাদা বই।

আসলে এই বইগুলি নিয়ে এই পোস্টটি লিখবো বলে বসেছিলাম। খালি ঘুরে ঘুরে নিজের এলেবেলে ধরনের কথা বলি। বয়স হয়ে গেছে। এখন তো প্রসঙ্গ পাল্টেই গেল। যাক।

এইযে মেয়েরা প্রশ্ন তুলছে রূপ জিনিসটা কি? এইটাও একটা কৌতূহল জাগানিয়া জরুরী প্রশ্ন। আমরা পুরুষরা তো নারীর শরীর দেখি, শরীরের গঠন আকৃতি রঙ ইত্যাদি। আমরা তো চাই যে নারীটি তার শরীরখানি আমাদের পছন্দমতো হালকা পলকা করে রাখবে আর সেটিকে নানাপ্রকার রঙ গয়না ইত্যাদি নানাপ্রকার ইয়ে দিয়ে ডেকোরেট করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করবে। জুতার ফ্যাক্টরি দেখেছেন? দেখেছেন সেখানে কিভাবে কাজ হয়? একেকটা জুতা নির্মাণের সময় এর রঙ আর অর্নামেন্ট নিয়ে বেশ ভাবনা চিন্তা করা হয়। এই দুইয়ের মধ্যে কি কোন মিল খুঁজে পান? জুতা তৈরি আর একটি নারীর রূপসজ্জা, ডায়েটিং ইত্যাদির মধ্যে? নাকি একটু বাড়াবাড়ি রকমের এনালজি টানছি?

একটু বাড়াবাড়ি রকমের হলেও এনালজিটা একদম উড়িয়ে দিতেও পারিনা।

নারীকে হাজার বছর ধরেই আমরা আমরা আমাদের অস্থাবর সম্পত্তি বিবেচনা করি। কোন কোন ধর্ম দাবী করে যে নারীকে নাকি ওরা উচ্চ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। ওদের দাবীর সপক্ষে ওদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনে দেখেবেন। দেখবেন যে ওরা বলবে আমাদের গ্রন্থে নারীকে মহা মুল্যবা হিরা জহরতের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বটে? এই হচ্ছে সর্বোচ্চ মর্যাদা? আমার কন্যা আমার কাছে মহা মূল্যবান হীরক খণ্ড? ওরে গাধা, হীরক খণ্ড যতই মহা মূল্যবান হোক, সেই একটি হস্তান্তরযোগ্য সম্পদই বটে। আমার কন্যা আমার কাছে হীরক খণ্ড নয়- সেও একজন মানুষ মাত্র, মানুষ। ভাল মন্দ দোষ গুণ সুখ দুঃখ সব কিছু মিলিয়ে একজন মানুষ- আমার মতোই মানুষ। আমার সম্পত্তি না।

(৩) 
গাধাগুলি সেই কথা বুঝবে কেন? ওদের কাছে বিস্ময়কর লাগে- মেয়েমানুষকে এইরকম মূল্যবান বলা হচ্ছে এর পরেও এর কি চায়? ওদেরকে কি তবে পুরুষের মত মানুষ বলে বিবেচনা করতে হবে? বলে কি?

আপনি এদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। বা পরিচিত নারীবাদীদের সম্পর্কে এইসব ধার্মিক লোকেরা যেসব নিন্দাবাক্য আর গালাগালি লেখে, সেগুলি পরে দেখতে পারেন। দেখবেন এইটা ওদের কথা। ওদের মুল প্রেমিস- যেটাকে স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়ে ওরা আলোচনা করে- সেটা হচ্ছে নারী পুরুষের অধীনই থাকবে, পুরুষের সম্পদ। তবে আমরা কিনা সবচেয়ে ভাল ধর্ম, আমরা পুরুষের এই সম্পদটিকে অন্যদের চেয়ে বেশী মূল্য দিই।

আমি ওদেরকে বলতে চাই- সম্ভবত বেশীরভাগ নারীবাদীই এই কথাটিই বলে- যে, ভাইজান, নারীকে অত বেশী মূল্যবান বলার দরকার নাই। মেহেরবানী করে ফার্স্ট প্রেমিসটা পালটান। নারী যে একজন মানুষ এবং আপনার মতোই মানুষ এই কথাটা আগে মানেন। নারীর মূল্য নির্ধারণ করার দরকার নাই, নারী কোন পাত্থরের টুকরা না।

কিন্তু সে তো হবার নয়। শুধু ধর্মকে দোষ দিলে তো হবেনা। আর ধর্মগুলি আনি যদি সঠিক কন্টেক্সটে তাইলে সেরকম খারাপ কিছুও না। একেকটা ধর্মের যখন আবির্ভাব হয় আপনি যদি ঠিক সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় বিধানগুলি বিচার করেন তাইলে দেখবনে যা পূর্ববর্তী সামাজিক বিধানের তুলনায় এই বিধানগুলিই একেকটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল। আজকের কন্টেক্সটে দেখলে গেলে একই বিধানকে অবশ্যই পশ্চাৎপদ মনে হবে। আর সমস্যাটা তৈরি হয়ও সেইখানেই, যখন কোন কোন গ্রুপ সেই সময়ের বিধানগুলিকে চিরিন্তন এবং আজকের জন্যও প্রযোজ্য মনে করে।

এই জিনিসটাই আপনাকে জানতে হবে। সমাজ বিকাশের একটা পর্যায়ে যে ঘটনাটা একটা নতুন বিপ্লব বা বিকাশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সেই ঘটনাই একসময় আমাদের উপর অপরিবর্তনীয় অলঙ্ঘনীয় বিধান হিসেবে চেপে বসে। এই যে চেপে বসলো এইটাকে যারা চূড়ান্ত বিকাশ মনে করে ওরাই প্রতিক্রিয়াশীল। প্রগতিশীল কেবল সেই, যে কিনা নতুন বিপ্লব চায়, সমাজকে বিকাশের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চায়।

ধর্মগুলির মত, পুঁজিবাদের বিকাশও মানুষের সভ্যতার ইতিহাসে অবশ্যই একটা বড় ইতিবাচক ঘটনা। বিপ্লবই বলতে পারেন। কিন্তু এইটাই চূড়ান্ত নয়। বিকাশের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেটাই প্রগতি।

(৪) 
নারীর ব্যাপারটাতেই থাকি। পুঁজিবাদও কিন্তু নারীকে এর আগের পর্যায় থেকে খানিকটা অগ্রসর করে এনেছে। নারী এখন এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সংগ্রাম করে অর্জন করতে হয়েছে, তবয় নারীর ভোটাধিকার এসেছে। কাজের ক্ষেত্রে নারীর অধিকার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সমান কাজে সমান মজুরী এটাও একটা মোটামুটি স্বীকৃত বিধান হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। এইগুলি তো হচ্ছে অর্জনের দিক।

কিন্তু পুঁজিবাদেরও তীব্র সংকট আছে। পুঁজির মুল বিশিষ্টই হচ্ছে পুঁজির কাছে সবকিছুই পণ্য। শ্রম মেধা রূপ যৌবন সবকিছুই পুঁজির কাছে পণ্য, যেটা নিয়ে ব্যাবসা করে মুনাফা অর্জন করতে হয়। পণ্য মানে কি? পণ্য মানে হচ্ছে যেটা কেনাবেচা করা যায়- চাহিদা আছে কিন্তু সরবরাহ সীমিতে। আমরা টাকা দিয়ে যেসব জিনিস ভোগ করি সেগুলি তো পণ্য বটেই, সেই সাথে এইসব পণ্য তৈরিতে বা বেচাকেনাতে যেসব উপকরণ লাগে সেগুলিও পণ্য। এইসব উপকরণের মধ্যে শ্রমও আছে।

নারীকেও পুঁজি কেবলই একটু পণ্য হিসাবেই দেখে। কিভাবে? পুঁজি নারীকে দেখে পুরুষের ভোগের সামগ্রী হিসাবে। এজন্যে পুঁজি কায়দা করে নারী নামক এই পণ্যটির প্যাকেজিং আর প্রেজেন্টেশনের রূপ ডিফাইন করে। এই যে আপনারা সাইজ জিরো, খোসা ছড়ানো ডিমের মতো নির্লোম মসৃণ ফর্সা ত্বক, চোখের রঙ, ঠোঁটের রঙ এইসব নানাকিছুকে রূপের অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসাবে দেখেন, এইগুলি সবই পুঁজি ডিজাইন করে দিয়েছে। আর এই ডিজাইনকে মান ধরেই আমরা আমাদের শখের নারি-পন্যটিকে যাচাই বাছাই করি।

ধর্মের সাথে কি এর বিরোধ নেই? আছে। ধর্মগুলি নারীকে বিবেচনা করে একান্ত ভোগের সামগ্রী হিসাবে- মানুষের চেয়ে একটু নিম্ন স্তরের জীব হিসাবে। আর পুঁজি নারীকে খানিকটা মানুষ বিবেচনা করে বটে- কিন্তু সেই পুরুষের জন্য ভোগের পাত্র মানুষ। ঐ যে আগেই বলেছি, পুঁজিবাদও সমাজবিকাশের ধারায় একটা ইতিবাচক বিপ্লব হিসেবেই এসেছে। সামন্তবাদই সমাজে নারীরই রূপের ধারনা থেকে পুঁজিবাদে নারীরই রূপের ধারনা এই যে খানিকটা পরিবর্তন সেই সেই ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ। এটা খানিকটা অগ্রসর হওয়া মাত্র, চূড়ান্ত গন্তব্য নয়।

এই যে নারী নামক পণ্যটি, সেই পণ্যটিকে বিক্রির জন্যে পুঁজি ব্যবহার করে শিল্প সাহিত্য রূপকথা সঙ্গীত এইসবের সবকিছুকেই। এমনকি ধর্মকেও।

ব্যাপারটা এমনভাবে কাজ করে যে এইগুলিই মনে হবে আপনার কাছে স্বাভাবিক সামাজিক আচরণ। দেখবেন একটি নারীশিশুকে আমরা গোলাপি রঙ দিয়ে রঞ্জিত করি। সে নিজেকে সিন্ডেরেলা, স্লিপিং বিউটি এদের মত করে তৈরি হতে থাকে। যেন নিজেকে একজন রাজকুমারের কাঁধে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্যে তৈরি করা।

(৫) 
এবং এইটা আমাদের এই ঢাকা শহরেও প্রতিদিনের জীবনেও প্রত্যক্ষ্য করি। প্রেমের খতরেও দেখবেন, নারীটি সবসময় আড়ষ্ট হয়ে থাকছে। কথা বলার সময় প্রতিটা কথা বলার আগে তিনবার করে ভাবছে- পুরুষটা না আবার কিছু মনে করে। এমনকি নারীটি যদি চাল্লু ধরনেরও বা প্রগলভাও হয়, তাঁকেও দেখবেন সে কেবলই ভাবছে পুরুষ বন্ধুটির মন রেখে কথা বলার। প্রেমে যখন শারীরিক ব্যাপারগুলি আসে, তখনও দেখবেন, নারীটি এবং পুরুষটির এমনভাবে কথা বলছে যেন কেবল পুরুষটিই এই শারীরিক মিলনটি উপভোগ করবে আর নারী কেবল তাকে উপভোগ করতে 'দিবে'।

পুরুষটি অনুনয় বিনয় করতে থাকে, 'দাও', এঁর নারীটি ভাবতে থাকে 'দিবে' ই দিবেনা। যেন মিলনটি মিলন নয়, দুইজনের সঙ্গম নয়, একজন আরেকজনকে খাচ্ছে মাত্র। ভেবে দেখেন। আমি তো ঘুরেফিরে এলোমেলো কথা বলতে বলতে কথা থেকে কোথায় চলে এসেছি। তরুণ বন্ধুরা, আপনারা একটু গুছিয়ে, পড়ে, শুনে দেখে এইগুলি বিষয় একটু ভাবেন। ভাবতে তো হবে। প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে র কতদিন থাকবেন। সমাজ পাল্টাতে হবে না?

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত