সরকারের বোধদয় হোক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০১৬, ১৯:৫২

রানা দাশগুপ্ত ও পিযুষ বন্দোপাধ্যায় পিটিআই কে দেওয়া সাক্ষাতকারে বাঙলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদেশের হস্তক্ষেপ চেয়েছেনে, যা সম্পূর্ণ নাগরিক কর্তব্যের লঙ্ঘন। এ ধরনের অমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা কী হাসিল করতে চান তা বোধগম্য নয়। তবে এর পেছনে যে স্বার্থসংশ্লিষ্টতা আছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এ সকল লোকজন নিজের জন্য যতটা আন্তরিক সম্প্রদায়ের জন্য ততটা নন। কিন্তু সম্প্রদায়কে পুঁজি হিসেবে ব্যবহারে তাদের জুরি নেই। ২০০১ সালের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় তাদের ভূমিকা কীছিলো? কিংবা ২০১৩ সালে কী করেছেন গুপ্ত-বন্দোপাধ্যায় বাবুরা? এগুলোই ভাবনার সূচক।

দেশের সমস্যা দেশের সরকার সমাধান না করলে কোনো কিছুই হবে না। সরকারের কাছে দাবি তোলা উচিৎ-দাবি আদায়ে আন্দোলনে থাকা উচিৎ। সাক্ষাতকার দিয়ে লাভ হবে না-এটা সবাই জানে ও বোঝে।

মুক্তিযুদ্ধে সংখ্যালঘুদেরও অবদান আছে-যদিও তা বিস্মৃত প্রায়। এ জন্য কাজ করা দরকার। দেশ প্রতিষ্ঠায় যে জাতিগোষ্ঠী জীবন দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদেরকে রক্ষার জন্য দেশ ও দেশের সরকারকেই ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু সরকারের উদাসীনতা আর ধর্মভুক্ত হয়ে যাওয়াটাই যত বিপদের জন্য দায়ী।

বোধদয় হোক সরকারের
ভাবতে শিখুন গুপ্ত-বন্দোপাধ্যায় বাবুরা
এটাই প্রত্যাশিত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত