যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে বাংলাদেশের উন্নতি

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২০, ১২:০১

সাহস ডেস্ক

গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। এ বছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি থেকে উন্নীত হয়ে দ্বিতীয় স্তরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলিকে ভাগ করা হয় এবং সেগুলি হচ্ছে প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।

‘আভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তার ২০২০ সালের ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) প্রতিবেদনে এ বছর মানবপাচার রোধে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। 

এতে দেখা যায় যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি থেকে উন্নীত হয়ে দ্বিতীয় স্তরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কমপক্ষে  ৪ হাজার ৪০৭টি মানবপাচারে মামলা ছিল,  যা ২০১৯ সালের শেষের দিকে তদন্ত বা বিচারের বিচারাধীন ছিল এবং দণ্ডিত হওয়ার হার ১.৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে মোট মামলা হয় ৫৪৭টি আর পরের বছর মামলা হয় ৬৪৪টি।

লিবিয়ায় ৩০ জন অভিবাসী শ্রমিককে হত্যার পর মানবপাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি উঠে আসে প্রতিবেদনটিতে। গ্রেপ্তারকৃতরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশে পাঠানো নামে মানুষ থেকে অর্থ আদায় করতো।

তবে রোহিঙ্গাদের পাচার নিয়ে 'শত শত বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন' তদন্তের আহবান করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে নৌকা বোঝাই করে মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা পাচারের বিষয়টি। মালয়েশি

উল্লেখ্য সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে মানবপাচারের জন্য ৬৪৪টি মামলা হয়েছে, নিষ্পত্তি হয়েছে চারটি মামলা, ১১ জনের যাবজ্জীবন ও তিনজনের অন্যান্য মেয়াদের শাস্তি হয়েছে। এর এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে মোট মামলা হয়েছে ৫৪৭টি, ৩৪টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং সাতজনের যাবজ্জীবন এবং একজনের অন্য মেয়াদের শাস্তি হয়েছে।  এছাড়া ২০১৮ সালে অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ছিল ৩,৮৫৩ এবং এক বছর পরে সেটি দাড়ায় ৪,৪৪০ টি মামলা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত