কেরালা এফসিকে হারিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৫২

সাহস ডেস্ক

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলে প্রথম সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের শ্রী গোকুলাম কেরালা এফসিকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনী।

২৮ অক্টোবর (সোমবার) বন্দরনগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই-দুইবার পিছিয়ে পড়েও কেরালা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে আবাহনী।

এদিন জয়ের জন্য ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ফ্রি-কিক নেন জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু কেরালার রক্ষণভাগে সুযোগ খুঁজে নিতে পারেনি তার সতীর্থরা।

তবে ম্যাচের ২৯ মিনিটে এগিয়ে যায় কেরালা। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন হেনরি কিসেক্কা। তাকে ব্লগ করতে গিয়ে উল্টো পড়ে যান ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি।

কিসেক্কা ডান পায়ের শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক নেহালকে। এ নিয়ে চার ম্যাচে চার গোল করে টুর্নামেন্টের শীর্ষ তালিকায় ওঠে এলেন এই উগান্ডা স্ট্রাইকার। সমান গোল করে একই তালিকায় আছেন তেরেঙ্গানুর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ব্রুনো সুজুকি।

গোল হজমের পরের মিনিটে সুযোগ হারায় জামাল ভূঁইয়ারা। ৩৬ মিনিটে আবার এগিয়ে যেতে পারতো কেরালা। তবে মার্কাস জোসেফের শটটি চলে যায় প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট ঘেঁষে। পরের মিনিটে জামালের পাস থেকে লুকা আবারও সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে।

বিরতি থেকে ফিরে এসে জাল খুঁজে পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের গোলে সমতায় ফেরে তারা। আরিফুলের ক্রস থেকে কেরালার জালে বল জড়িয়ে দেন এই আইভরিয়ান মিডফিল্ডার।

ম্যাচের ৮০ মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। স্বাগতিকদের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ে কোনাকুনি শটে ব্যবধানটা ২-১ করেন অধিনায়ক জোসেফ।

দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ে প্রাণপণে লড়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তুলে তারা। ৮৮ মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়ে তা হাতছাড়া করে মারুফের দল। এর পরের মিনিটে স্বস্তির গোল পান জামাল ভূঁইয়ারা। ৮৯ মিনিটে এবারও চট্টগ্রাম আবাহনীকে বাঁচিয়ে দেন দিদিয়ের। আরিফুলের বদলি হিসেবে নামা কাউসার আলী রাব্বির পাস থেকে কেরালার জালে বল জড়িয়ে জোড়া গোল পূরণ করেন এই আইভরিয়ান তারকা। নির্দিষ্ট সময় ২-২ ব্যবধানে সতমায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় দু’দল। ১০৫ মিনিটে ঘরের সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান চিনেদু ম্যাথিউ। এবারও ক্ষিপ্রবেগে উপরে ওঠে বল ক্রস করেন রাব্বি। সেই বলে প্রথমে ভলি নেন ম্যাথিউ। কিন্তু বল বাধা পায় কেরালার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। ফিরতি বলে পুনরায় হেড দিয়ে গোলের আনন্দে মেতে ওঠেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ম্যাথিউ।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রাম আবাহনী অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন ডিফেন্ডার প্লেন পিটার। বাকি সময় গোল শোধের জন্য আক্রমণের ঢেউ তুলে কেরালা। ম্যাচ শেষের চার মিনিট বাকি থাকতে গোলের সহজ সুযোগ হারায় তারা। ১১৯ উল্টো দশ জনের দল হয়ে পড়ে কেরালা।

হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার ইকবল জনকে মাথায় ঢুঁশ মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন হেনরি কিসেক্কা। বাকি সময় জমাট রক্ষণভাগ দিয়ে কেরালাকে আর গোল শোধ করতে দেয় মারুফের দল। দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে ওঠে যায় শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামা চট্টগ্রাম আবাহনী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত