বিমানবন্দরে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে কারসাজি ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৯

সাহস প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডলার ও অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে কারসাজি ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকার ও দুই মানি এক্সচেঞ্জারের দুই কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।   
আসামিরা হলেনÑ জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সুরুজ জামাল, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, প্রিন্সিপাল অফিসার আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার অমিত চন্দ্র দে, সিনিয়র অফিসার মানিক মিয়া, সিনিয়র অফিসার সাদিক ইকবাল, সিনিয়র অফিসার সুজন আলী,  সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়র পারভেজ, সিনিয়র অফিসার হুমায়ুন কবির; সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সোহরাব উদ্দিন খান, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) শরীফুল ইসলাম ভূইয়া, সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ সবুজ মীর, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) খান আশিকুর রহমান, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) এবিএম সাজ্জাদ হায়দার, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) কামরুল ইসলাম, অফিসার সামিউল ইসলাম খান, সাপোর্টিং স্টাফ মোশারফ হোসেন; অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার আবু তারেক প্রধান, এভিয়া মানি চেঞ্জার কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার আসাদুল হোসেন ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম কবির আহমেদ।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২); মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর ২৩(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল বুধবার দুদক সচিব বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে কারসাজি ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করেছেন। অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ এসব অর্থ দেশের বাইরে পাচারও হতে পারে। দুদক এখন থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।
এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে, জাল ভাউচার তৈরি করে বিদেশফেরত প্রবাসী এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের থেকে সংগৃহীত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলে অন্তর্ভুক্ত না করে বেআইনিভাবে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। আসামিরা ফরেন কারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশমালা ও ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত