ঈদ-উল-ফিতরের পরেই বঙ্গবাজার মার্কেট নির্মাণকাজ শুরু হবে : মেয়র তাপস

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৩

বাসস থেকে সংগৃহীত
বাসস থেকে সংগৃহীত ছবি

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের পরেই পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে (কমিউনিটি সেন্টার) ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের উদ্যোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটসহ অবকাঠামো উন্নয়নে এই ওয়ার্ডে (২০ নং ওয়ার্ড) আমাদের ৬০০ কোটি টাকার বেশি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, আগামী ঈদ-উল-ফিতর পর্যন্ত বঙ্গবাজারে সেভাবেই ব্যবসা পরিচালিত হবে। ঈদের পরেই আমরা সেখানে নতুন মার্কেট নির্মাণ কাজে হাত দিবো। আমাদের দরপত্র কার্যক্রম প্রায় শেষ। সেখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা আবারও তাদেরকে সেখানে উঠিয়ে দিতে পারব। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।’
দুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের পাশে আছেন- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে বাংলাদেশকে আলিঙ্গন করে রেখেছেন এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। শুধু অবকাঠামো উন্নয়নই নয় সকল ক্ষেত্রেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কী প্রয়োজন, কী চাহিদা তিনি সেগুলো বিবেচনা করেন। আজকে যখন করোনা মহামারী ও যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের নাভিশ্বাস, তখন তিনি সারা বাংলাদেশে এক কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে তিনি ন্যায্যমূল্যে সাধারণ মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে চলেছেন। এভাবেই সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে তিনি ব্যবস্থা নিয়ে চলেছেন এবং তা চলমান রেখেছেন।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ২০ নং ওয়ার্ড ও শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০ নং ওয়ার্ডের নি¤œ আয়ের ৫ শত মানুষের কাছে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং এই রমজানের মধ্যে আরও ৫'শ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।
বিতরণকৃত খাবারের প্রতিটি প্যাকেটে ৮ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি চিনিসহ মোট ৯ ধরনের খাদ্য সামগ্রী রয়েছে।
এর আগে মেয়র গোলাপ শাহ মাজার থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস মার্কেট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত