সবার আগে ইশতেহার প্রকাশ মমতার দলের

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৬:০৮

সাহস ডেস্ক

সব রাজনৈতিক দলের আগে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কালীঘাটের বাসভবনে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে তিনি নোট বাতিল নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। পাশাপাশি জিএসটি চালু করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। জানিয়েছেন, মানুষের কাজে না লাগলে জিএসটি বাতিল করা হবে। আর এসবই ইশতেহারে সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে এবারের নির্বাচনে নতুন ভারত গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই যোজনা কমিশন বন্ধ করেছিল।

পরিবর্তে চালু করা হয় নীতি আয়োগ। এই নিয়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেছেন।  মমতা ১০০ দিনের কর্মসুচিকে ২০০ দিনে পরিণত করার এবং মজুরি দ্বিগুন করার প্রস্তাব রেখেছেন। 

আবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় মমতা জানিয়েছেন, আমি ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই কেউ না পারলে আমাকে দায়িত্ব দিক। কাশ্মীরে গিয়ে থাকব।ওখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলব। সমস্যা বোঝার চেষ্টা করব। পরিবর্তে কিছু চাই না আমার। তৃণমূলের ইশতেহারে বিজেপির শাসনকালে দেশের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

 অন্যদিকে, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে সেকথারও সবিস্তার উল্লেখ রয়েছে ইশতেহারে। মোদী সরকারের শাসনকালে দুটি বড় সিদ্ধান্ত হল নোট বাতিল ও জিএসটি চালু। সেই দুটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, নোটবাতিল নিয়ে তদন্ত করা হবে। কার স্বার্থে নোটবাতিল ? আমরা চাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এর তদন্ত করুক। তাহলেই বোঝা যাবে, কত টাকা দেশের বাইরে গিয়েছে, কত কালো টাকা সাদা হয়েছে। পাশাপাশি ইশতেহারে জিএসটির মূল্যায়ণের দাবি জানানো হয়েছে। 

মমতা বলেছেন, যদি মনে হয় জিএসটি মানুষের কাজে এসেছে তাহলে তা চালু থাকবে। আর জিএসটির জন্য মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে থাকলে তা বাতিল করা হবে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত