তিতাসের পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ থেকে মিলছে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

-ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের বন্ধ থাকা ২৪ নম্বর কূপ থেকে আবারও জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এর আগে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি কারিগরি ত্রুটির কারণে ওই কূপের উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) মহাপরিচালক (প্রশাসন) মাহমুদুন নবী শুক্রবার রাতে দৈনিক সাহসকে বলেন, তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপে গ্যাসের চাপ পরীক্ষাসহ কারিগরি সব প্রস্তুতি শুক্রবার শেষ হয়। এরপর ওইদিন বিকেল থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা শুরু হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হবে। এটি দেশবাসীর স্বস্তি ও আনন্দের খবর।

বিজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিজিএফসিএলের আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপটি ২০১৬ সালে খনন শুরু হয়। সিনোপ্যাক নামে চায়নার একটি কোম্পানি এই খনন কাজ করে। খনন শেষে ওই কূপের সি-৬ অঞ্চল থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বিজিএফসিএল। কিন্তু ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি কারিগরি ত্রুটির কারণে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়।

চলতি বছরের গত ২৬ মে ওই কূপে নতুন করে ওয়ার্কওভারের কার্যক্রম শুরু হয়। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্সের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি করা হয়। এর মধ্যে ৪৭ কোটি টাকার বেশি অর্থায়ন করেছে বাপেক্স। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর শুক্রবার বিকেল থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবারাহ করা শুরু হয়।

বিজিএফসিএলের আওতাধীন বর্তমানে তিতাস, কুমিল্লার বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, মেঘনা, কামতা গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।