কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে ব্যবস্থা: সিইসি

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৬:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (১৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাগত কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নীতিমালা প্রস্তুত করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের এই মতবিনিময় সভা হয়।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের প্রতিপক্ষ নয়। আগামী নির্বাচনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে ও গ্রহণযোগ্য করতে কমিশন সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যতই উনাদের (সাংবাদিকদের) বাধা দেওয়া হবে ততই উনাদের মনে হবে- ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। এ ধরনের একটা ভাব সৃষ্টি হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি স্বচ্ছতা লাগবে। স্বচ্ছতা না হলে আমরা আবারও গত নির্বাচন যেভাবে বিতর্কিত হয়েছে হয়তো পুরোটাই সত্য নয়...কাজেই স্বচ্ছতার বিষয়টাতে আমাদের জোর দিতে হবে।

ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়র তিনি বলেন, স্লো করা যদি অপকৌশল হিসেবে করা হয়, তাহলে নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত। সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, তাহলে নির্বাচনের দিন এ জিনিসগুলো না করলেই বোধ হয় ভালো হবে। কেননা এতে সন্দেহের উদ্বেগ হবে। অনেকেই ভাববেন অপকর্মের জন্যই এটা করা হয়েছে।

অন্য এক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের কর্তৃত্ব খর্ব করা ঠিক হবে না। তিনি ভোটের দিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে থাকেন। তবে তিনি কোনো অপকর্ম করলে আইনে বিধান আছে। এতে কোনো ঘাটতি থাকবে না।

সাংবাদিকদের পুলিশি বাধার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছে না, এমন হলে সিরিয়াসলি নিতে হবে আমাদের। যদি নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাদের অথরাইজ করা হয় সেই অথরিটির ওপর পুলিশ আপনাদের ঢুকতে দিচ্ছে না, এমন হয়; তাহলে আপনারা ছবি তুলে দেখাবেন। আমাদের বিষয়টি অবহিত করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে যাতে আপনাদের বাধা না দেন আমরা বিষয়টা দেখবো।

তিনি বলেন, নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের মাধ্যমে যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আমাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকার সুযোগটা বেড়ে যাবে।

গণমাধ্যমের বিপক্ষে কখনোই আমাদের অবস্থান নয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের স্বার্থে যদি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সে বিষয়টা আমরা দেখবো।

সভায় অন্যদের মধ্যে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ আরএফইডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত