সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:১১

সাহস ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। রবিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে এ অভিযান শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ও কুমিরা স্টেশনের দুটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নতুন করে কোনো শ্রমিকের লাশ পাওয়া যায়নি।

আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হতাহত কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে শনিবার বিকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণে সীমা অক্সিজেন (প্ল্যান্ট) লিমিটেড কারখানার আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠে বলে স্থানীরা জানায়। এ কারণে আশে-পাশের অনেক বাড়ি-ঘর, অফিস-দোকান পাশের ভবন, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনার গ্লাস ভেঙে পড়ে। এছাড়া কিছু কিছু বিল্ডিং-এ ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন জানান, বিস্ফোরণের পর চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে টিন ও লোহার টুকরা। আশপাশের অনেক ভবনের দেওয়াল ফেটে গেছে। উড়ে গেছে টিনের চালা। ভেঙে গেছে অনেক ঘরের কাঁচ। বিস্ফোরণের পরের অবস্থা দেখে তাদের মনে হয়, যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ।

ঘটনার সময় কারখানার বাইরে থাকা ইয়াসিন নামে এক শ্রমিক জানান, আমি বিস্ফোরণের মাত্র ১০ মিনিট আগে ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়েছিলাম চা খেতে। চা খেয়ে আবার কারখানায় ঢুকার আগেই বিস্ফোরণ ঘটে। অল্পের জন্য বেঁচে যাই। বিস্ফোরণের পর কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এমনকি বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিস্ফোরণে আহত আব্দুল মোতালেব (৫৫)। তিনি জানান, আমাদের কারখানায় অক্সিজেন তৈরি করা হয়। তারপর ৮০ কেজি ওজনের সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরা হয়। আমি মনে করি সিলিন্ডারে অতিরিক্ত চাপের কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। প্ল্যান্টে এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। এদিকে বিস্ফোরণে যে ছয় জন নিহত হয়েছে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

অন্যদিকে, বিস্ফোরণে আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে এবং নিহতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নিহতের পরিবারকে আরও দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত