ছাত্রাবাসে হামলার শিকার কুবি শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪০

সাহস ডেস্ক

ছাত্রাবাস ছাড়াকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছে ছাত্রাবাস মালিকের ছেলে আবু সুফিয়ান। একই সময় এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে আরেক শিক্ষার্থীর সাথেও অসদাচরণ আচরণ করেন তিনি। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে ইব্রাহিম খাঁর ছাত্রাবাসে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মোশারফ হোসেন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রাবাসের মালিক ইব্রাহিম খাঁর ছোট ছেলে আবু সুফিয়ান ঐ ছাত্রাবাস বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী মোশারফকে তার রুমের ওয়াশরুম পরিষ্কার করে রাখতে বলেন। মোশারফ পরদিন পরীক্ষার পর পরিষ্কার করে রাখবে বলে জানায়। এতে সুফিয়ান উত্তেজিত হয়ে প্রথমে গায়ে ধাক্কা ও পরে লাথি দেয়। এতে ঐ ছাত্রাবাসে বসবাসকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীও সেখানে জড়ো হয়। এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেনের সাথেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন সুফিয়ান।

ভুক্তভোগী মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আঙ্কেল (ইব্রাহিম খাঁ) আমাকে এসে বলেন যে আমার রুমের বাথরুম পরিষ্কার করতে। আগামীকাল পরীক্ষা শেষ করে এসে এই বিষয়ে কথা বলবো বললে উনি আমাকে বলেন আজকেই পরিষ্কার করতে, প্রয়োজনে আমাকে হারপিক এনে দিবেন। আমি উনাকে বলি যা বলার কাল পরীক্ষার পর এসে বলবো। এর মাঝেই তার ছোট ছেলে সুফিয়ান আমাকে এসে ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে আমাকে লাথি দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয় সে।

প্রথমে ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান বলেন, সে আমাকে আর আব্বাকে উল্টাপাল্টা কথা বলতেছিলো। আমি ধাক্কা দেয়ার পর সেও আমার দিকে তেড়ে আসে ও বাজে কথা বলে। এই বিষয়ে ঐ ছাত্রাবাস বিল্ডিংয়ের মালিক ইব্রাহিম খাঁ জানান, আমার ছেলে অন্যায় করেছে সেই জন্য আমি স্যরি বলেছি ওকে। আমার ছেলেকে দিয়েও স্যরি বলিয়েছি।

তবে সেখানে বসবাসরত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই ছাত্রাবাসে থেকে কোনো শিক্ষার্থী চলে যাওয়ার সময় নানা সমস্যা করেন মালিকপক্ষ। শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত কয়েক মাসের ভাড়া রাখা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য কোনো আসবাবপত্র যেমন, সিলিং ফ্যান, খাট,টেবিল ইত্যাদি রেখে যেতে বাধ্য করাসহ আরো অনেক অভিযোগ এই মেসের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে ইব্রাহিম খাঁ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার ছেলের মতো। তাদের বিভিন্ন সময় অনেক ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি। এখন যেহেতু কথা উঠেছেই এইসব বিষয়ে তাদের সাথে আমি কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করবো। সকলের সাথে বসে কথা বলবো।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত