‘মিয়ানমারের কোনো নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না’

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৫৪

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমারের কোনো নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা বর্ডারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিজিবিকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছি।’ এসময় বিষয়টি সরকার পর্যবেক্ষণ করছে বলেও মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের লাক্কতুরা চা-বাগানে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দেশটির বিভিন্ন আর্মস গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে বিভিন্ন আর্মস গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়েছে। ভয়ে সে দেশের নাগরিকেরা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে আসে। তবে আমরা তথ্য পেয়েছি, এবার তারা বাংলাদেশের দিকে আসছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা শোনার পর আমাদের বর্ডার ফোর্সসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিতে বলে দিয়েছি। আমরা সম্পূর্ণভাবে এক যে, আমরা একটাও মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।’

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ২টি গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে পড়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বোমা আমাদের এখানে এসেছে। তবে যে বিমান এসেছিল সেটা আমাদের এখানে ঢোকেনি। তারপরও তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলেছি, তারা বলেছে এটা স্ট্রে বোম্ব। এটা আমাদের ওখানে নয়, বর্ডার ক্রস করেনি। সেগুলো জঙ্গল এলাকায় ফুটেছে, সো, দিস ইজ এ গুড নিউজ।’

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ফাইটার জেটকে আকাশে চক্কর দিতে দেখা গেছে। মাঝেমধ্যে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারগুলো থেকে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এর আগে সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটার ভেতরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গোলা এসে পড়ে। জনবসতিহীন পাহাড়ে গোলা দুটি বিস্ফোরিত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চা-শ্রমিকদের দিকে সবসময়ই তাকান জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চা-শ্রমিকরা সবসময়ই আমাদের দলের সমর্থক। তাই আমরাও সবসময় তাদের দিকে তাকাই। চা শ্রমিকরা যেটা দাবি করেছেন। সেটা অত্যন্ত সুন্দর। আর বৃষ্টির মধ্যেও যে এত শ্রমিক এসেছেন, দেখে আমি খুব আনন্দিত হয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল আমি শাবিপ্রবিতে গিয়েছিলাম। ভিসি অঙ্গীকার করেছেন, চা শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশেষ কোটা চালু রাখবেন।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত