খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৪:১০

সাহস ডেস্ক

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার একটি আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকালে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শিউলী বেগম, হাসিনা (পলাতক), আ. রব ওরফে রাহুল (পলাতক) ও আমিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার বাবাকে নিয়ে গবরচাকা এলাকার হাবির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। অভাবের সংসার হওয়ায় স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন তিনি। আর এ সুযোগ কাজে লগিয়ে মামলার এজাহার নামীয় আসামি লাবনী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তাকে গার্মেন্টেসে কাজ দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। কিছুদিন পর শিউলী ও লাবনী বাড়ি ফিরে আসে। ভুক্তভোগীর বাবাকে তারা জানায়, তার মেয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করছে। অনেক টাকা বেতন পায়। অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবে। এ কথা বলে ভুক্তভোগীর বাবার হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। মেয়ে ফিরে না আসায় বাবা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু তাদের কথায় সন্দেহ বাড়ে বাবার। পরবর্তীতে কয়েকজনকে নিয়ে শিউলীর বাড়িতে গেলে সে স্বীকার করে যে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় না নিয়ে ভারতে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার দিন শিউলী বেগম ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে আমিনের সহায়তায় বোম্বে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর হাসিনার হেফাজতে রাখা হয় তাকে। পরবর্তীতে একটি বাসা ভাড়া করে শিউলী ও ভুক্তভোগী একই স্থানে অবস্থান করে। পরে ওই তিনজনের যোগসাজেশে তাকে আ. রব ওরফে রাহুলের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে হাসিনা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে ভারতের বোম্বে থেকে উদ্ধার করা হয়।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত