কূটনীতিকেরা নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি: সিইসি

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৭:৫৮

সাহস ডেস্ক

কূটনীতিকেরা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এলেও নির্বাচন বিষয়ে কোনও পরামর্শ দেয়নি বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে তারা সাক্ষাৎ করেছেন। তবে কোনও পরামর্শ দেননি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সঙ্গে রবিবার (২৪ জুলাই) সংলাপের সময় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে জাসদের নেতারা তাদের প্রস্তাবে কতিপয় বিদেশি কূটনৈতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে, অভিযোগ তোলেন। নির্বাচন কমিশনকে এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব‌্য করেন তারা।

জবাবে সিইসি বলেন, ডিপলোম‌্যাটদের সাথে আলোচনা হয়েছে। একটি গ্রুপ এখানে এসেছে, এছাড়াও পরে দুজন এসেছেন। তারা নির্বাচনের বিষয়ে কোনও পরামর্শ দেননি বলে জানান তিনি। বাইরে থেকে মনে হতে পারে। একটা বড় গ্রুপ এসেছিল, তারা আমাদের নির্বাচন বিষয়ে শুধু অবহিত হয়েছেন। কিন্তু উনারা উনাদের পক্ষ থেকে কোনও পরামর্শ দেননি। ‘আপনাদের (জাসদ) হয়তো দেখা হলে দিতে পারেন। আমাদের ওইভাবে কোনও পরামর্শ দেননি। আজ যতটুকু শুনেছি, এটা আগে থেকে একটি ধারাবাহিকতা। যখন নির্বাচন আসে তখন বিভিন্ন লোক এসে সাক্ষাৎ করে যায়। তারই অংশ হিসেবে হয়তো এটা হয়েছে,’ বলেন তিনি। রাজনৈতিক বিষয়ে ইসিকে সালিশি না করার বিষয়ে জাসদের প্রস্তাবের জবাবে সিইসি বলেন, প্রথম থেকে নির্বাচন কমিশন সবাইকে আহ্বান করে আসছে। সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কাউকে নির্বাচনে আসতে বাধ‌্য করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন। ‘এটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ‌্য নির্বাচনের জন‌্য সবাইকে আহ্বান করা,’ বলেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অনেক দায়িত্ব কমে যায়। অনেকগুলো দল থেকে একই মঞ্চ থেকে বক্তব‌্য দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। বিদেশে এ ধরনের বিষয়টি দেখা যায়। এই প্রস্তাবটি ভালো লেগেছে। অবশ‌্য আইনে এই বিষয়টি নেই।

নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইনে নির্বাচন কমিশন কোনও ঘাটতি দেখছে না উল্লেখ করেন হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ইসিকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া আছে। তারপরও কোনও ফাঁক-ফোকড় থাকলে সেটা নিয়ে তারা কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা রয়েছে। তাদের ক্ষমতার খুব একটা অভাবও নেই। সকলের সহযোগিতায় ক্ষমতাগুলো আইনানুগভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি। আইনের প্রয়োগে সহযোগিতা না করে বিরুদ্ধাচরণ করলে কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। আরোপিত ক্ষমতাগুলো ব‌্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন‌্য আইন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে প্রয়োগ করবেন বলে জানান তিনি। সিইসি বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশে লেভেল প্লেয়েইং ফিল্ডের অভাব। কেউ একটু বাড়তি সুবিধা ভোগ করেন। কেউ একটু কম বা কোনও দিক থেকে নির্বাচন কমিশন হয়তো পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়ে। কোনও দিক থেকে ইসি পক্ষপাত দুষ্ট নয়, বরং নিপীড়নমূলক হয়ে পড়ে। অথবা ফিল্ড লেবেলে যে বিষয়টি সহায়ক হওয়া দরকার সেটা সেইভাবে আসছে না বলে মনে করছেন তিনি।

সাহস২৪.কম/এসটি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত