লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২২, ২২:৪২

সাহস ডেস্ক

লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের রামগতি ডাইভারশন রোডে অবস্থিত উপশম প্রাইভেট হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ভুল চিকিৎসায় মুক্তা আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সময় অপারেশন থিয়েটারেই তার মৃত্যু হয় বলে দাবি স্বজনদের। এতে রোগীর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মৃত অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা আক্তার (২৫) রায়পুর উপজেলার ৩নং চর মোহনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ চর মোহনা গ্রামের বজা মার্কেট সংলগ্ন এমদাদ চৌকিদার বাড়ির মোহাম্মদ আমিনের ছেলে সোহেল হোসেনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের ফজল করিমের মেয়ে।

প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপশম হাসপাতালে মুক্তা আক্তারকে সিজার করানোর জন্য ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই সিজার করতে বললেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ ডাক্তার না থাকার অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। রাত ৮টার সময় মুক্তা আক্তারকে অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেন। ৮.৩০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অন্যত্র রেফার করেন। এদিকে পরিবারের দাবি অস্ত্রোপচারের জন্য অ্যানাস্থেসিয়া ইনজেকশন দেওয়ার একপর্যায়ে তার অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয় এবং মৃত অবস্থায় তাকে রেফার করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়।

মুক্তার বোন শান্তা ও রেহানা বলেন, আমার বোন সম্পৃর্ণ সুস্থ ছিলো। সে আমাদের সাথে কথা বলে নিজ পায়ে হেটে ওটিতে যায়। ২০/২৫ মিনিট পরে ডাক্তার বলে আমার বোনের জরায়ু ফেটে গেছে তাকে ঢাকার কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এই বলে তাকে এম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয় তখন আমার বোন মৃত।

সোহেল হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর অবস্থা ভালো না বলে তাকে রেফার করে। যখন তাকে এম্বুলেন্সে উঠাচ্ছে তখনই আমাদের সন্দেহ হয়। তাই আমরা প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে শহরের অন্য আরেকটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলেন। তাদের ভুল চিকিৎসার জন্য আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারা গেল। তারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে আমি এর বিচার চাই।

এবিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তব্যরত কর্মকর্তা বলেন, প্রথম থেকেই তার অবস্থা ভাল ছিল না। এখানে তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে জীবিত অবস্থাতেই রেফার করার পর এম্বুলেন্সে উঠানো হয়েছিলো। পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা আক্তারের দুটি সন্তান রাহিম (৬) ও মুনতাহা (৩) এবং পেটে যে বাচ্ছা নিয়ে মৃত্যু হয়েছে সেটা ছেলে ছিলো বলে জানায় মুক্তার ননদ পলি আক্তার। এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ করা হয়নি, পুলিশ মৃতদেহ সুরতহালের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

সাগস২৪/রাজ

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত