বন্যার্তদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২২, ১৭:৫৫

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার, চিকিৎসা, ত্রাণ সহায়তা প্রদানে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের যাতে কষ্ট না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ রবিবার (১৯ জুন) অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এক দিকে করোনা বাড়ছে, অপরদিকে ব্যাপক বন্যা। সিলেট বিভাগে এবার ব্যাপক হারে বন্যা এসেছে। এখন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। প্রশাসন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কাজ করছে। সব ব্যবস্থা নিয়েছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগও কাজ করছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি যা যা দরকার তা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিতদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা চলমান রাখার পাশাপাশি পানি নেমে গেলে যে অসুবিধা আসতে পারে, সে জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে। এই পানিটা আজকে থেকে একটু নামতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জ থেকে। পানিটা যখন নামবে, তখন আমাদের অন্যান্য অঞ্চলও প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এটা হবে, এটা আমাদের প্রাকৃতিক নিয়ম। কাজেই আমাদের, বিশেষ করে ময়মনসিংহ বিভাগ, রংপুর বিভাগেও বন্যার সম্ভাবনা আছে। সেটা আগে থেকে সতর্কতা আমরা নিচ্ছি। সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা করণীয়, আমরা সেটাও করে যাচ্ছি। একদিকে সমস্যাটা আছে, তবে হ্যাঁ, এটা প্রকৃতির খেলা। সেটা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।’

এরই মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই বন্যা তো আমাদের চিরাচরিত। কিছুদিন পরপর, বিশেষ করে ১০ থেকে ১২ বছর পর এত বড় বন্যা বাংলাদেশে আসে সবসময়। আমি সবাইকে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম। সবাইকে বলেছিলাম, বন্যাটা এবার ভয়াবহ আকারে আসবে; আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কাজেই আমাদের প্রস্তুতি কিন্তু আছে।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এই পানি যখন নামবে, কোনো না কোনো নতুন অঞ্চল যখন প্লাবিত হবে, ঠিক শ্রাবণ মাস পর্যন্ত থাকবে। আবার শ্রাবণ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলটা প্লাবিত হবে। কাজেই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশটা যদি আমরা দীর্ঘদিন থেকে দেখি, এটাই হচ্ছে নিয়ম, এটা হবে। মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ৩৩ জন সদস্যসহ মোট ৮৮ জন ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সাফ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের বাইরে ৫৫ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ ২০২০-এর ৩৩ জন এবং বঙ্গবন্ধু ৪-জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর বিজয়ী ২২ জন খেলোয়াড় রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন মারিয়া মান্দা, খেলোয়াড় মনিকা চাকমা এবং প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন, বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ফয়সাল খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়ার হাতে আর্থিক সম্মানির চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাহউদ্দিন, মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.নজরুল ইসলাম।

সাহস২৪.কম/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত