১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকা লজ্জার: ভারতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২২, ২১:৫৬

সাহস ডেস্ক

পরোক্ষভাবে বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ভাগাভাগি ও একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ও প্রস্তুত ছিলাম। তারাও প্রস্তুত ছিল, কিন্তু সেই চুক্তি করা হয়নি, এটা লজ্জাজনক।’ আসামের গুয়াহাটিতে ‘নদী’ সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। সোমবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি ঢাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আমাদের ৫৪টি নদী রয়েছে। উভয়পক্ষের পুরো অববাহিকা এলাকার মানুষের মঙ্গলের জন্য যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক এই নদীর পানির ন্যায্য পাওনা নিশ্চিতে তাই দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্ত পানি বণ্টন চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি এখনও। এতে ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় ধরনের হাহাকার হবে এবং আমাদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

চলতি মাসেই বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ কমিশনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিশ্চিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে আবারও আলোচনায় তিস্তা চুক্তি।

তিস্তা নদী তিস্তা কংশে হিমবাহে উৎপন্ন হয়েছে এবং বাংলাদেশে প্রবেশের আগে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে তিস্তার ক্যাচমেন্ট এলাকাগুলো ভারতকে বরাদ্দ করার পর থেকে এটি দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। ২০১১ সালে তিস্তার পানি ৩৭.৫ শতাংশ শেয়ার করতে রাজি হয়েছিল ভারত। আর ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে পানি স্বল্পতার মৌসুমে ৪২.৫ শতাংশ পানি ধরে রেখেছিল দেশটি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি কখনই হয়নি। এছাড়া সিকিমের তিস্তা বরাবর বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে পানি স্বল্পতার মৌসুমে আরও কম পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আসাম ও বাংলাদেশ একই সময়ে বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের পানি নিষ্কাশনের প্রযুক্তির বিষয়ে আরও সহযোগিতা করতে হবে, যৌথভাবে বন্যার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।’

সাহস২৪.কম/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত