কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা, কথিত‌‌‘ক্রসফায়ারে’প্রধান আসামি নিহত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদনগর এলাকায় গত বুধবার রাত ১০টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে। নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের গোলাবাড়ি এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে জানান র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

নিহত মো. রাজু (৩৫) জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানের অভিযোগে 'বেশ কয়েকটি' মামলা থাকার কথা জানিয়েছে র‍্যাব। মেজর সাকিব বলেন, 'অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের' অবস্থানের খবর পেয়ে র‍্যাবের টহল দল গোলাবাড়ি এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে। জবাবে আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি শেষে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা সাকিব বলেন, 'পরে জানতে পারি ওই ব্যক্তি সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রাজু।' র‍্যাব বলছে, এ ঘটনায় তাদের একজন সদস্যও আহত হয়েছেন, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেজর সাকিব বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী রাজুর মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন সরকারের ছেলে নাঈম। আনন্দ টেলিভিশনের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছাড়াও দৈনিক কুমিল্লার ডাক নামে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে স্টাফ রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় নাঈমের মা নাজমা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামির তালিকায় রাজুর নাম ছিল এক নম্বরে। এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।