রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ নেই মিয়ানমারের

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৯:২০

সাহস ডেস্ক

দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এলিস ওয়াইরিমু এনদারিতু সহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই’ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক তাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে সামরিক বাহিনীর সহিংসতার শিকার হন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। তাদের নিধনে চালানো হয় গণহত্যা। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি মানুষ। এরপর থেকে তাদের ফেরত পাঠাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এই প্রত্যাবাসন মিয়ানমার সরকারের কোনো আগ্রহ না থাকায় তা বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার নতুন শিশু। এতে প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাই তাদেরকেই সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে জনমত গঠনে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। জাতিসংঘ মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ।’

সাক্ষাতে কক্সবাজারের শরণার্থী ও তাদের শিশুদের লেখাপড়া, ক্যাম্পসমূহের অতি ঘনবসতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এসময় প্রতিনিধি দলের নেতা বাংলাদেশ কর্তৃক রোহিঙ্গাদের কারিগরিসহ শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ায় সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তারা আলোচনা করে যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন তা গাম্বিয়া কর্তৃক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) এর বিচার কার্যক্রম সহায়তায় ভূমিকা রাখবে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে গণহত্যার মামলা করে।

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত