অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২৩

সাহস ডেস্ক

বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে যেসব বাংলাদেশির নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে আগামী ৬ মার্চ এ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে যারা অর্থ রেখেছেন, তাদের একটি তালিকা দাখিল করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আগামী সোমবার এ মামলার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।

প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে বাংলাদেশি ৬৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা গত বুধবার আদালতে দাখিল করে বিএফআইইউ। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আসে। শুনানি নিয়ে আদালত ফের এ আদেশ দেন।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের নাম রয়েছে। তারা হলেন- মাল্টিমোড লিমিটেডের বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী ফাতেমা নাসরিন আউয়াল, তিন ছেলে তাবিথ আউয়াল, মোহাম্মদ তাফসির আউয়াল, মো. তাজওয়ার আউয়াল, মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের ফয়সাল চৌধুরী, ওয়াই ফরিদা মোগল, শহিদ উল্লাহ, সামির আহমেদ, সেভেন সিজ অ্যাসেটস লিমিটেড, সোয়েন ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর পাওয়ার লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর পাইপলাইন লিমিটেড, এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক সেভেন লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক ফাইভ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টেন লিমিটেড, বারলিংটন রিসোর্সেস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লকস থারটিন অ্যান্ড ফরটিন লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টুয়েলভ লিমিটেড, ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ (বারমুডা) লিমিটেড, টেরা বাংলাদেশ ফান্ড লিমিটেড।

আর পানামা পেপার্সে নাম আসা ৪৩ জন হলেন- বেগম নিলুফার কাজী, হংকং সাংহাই টেক্সটাইল স্পিনিং লিমিটেডের জাফরুল্লাহ কাজী (কাজী জাফর উল্লাহ), কাজী রায়হান জাফর, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডারের ক্যাপ্টেন সোহাইল হোসাইন (হাসান), স্পার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম, বাংলা ট্র্যাক লিমিটেডের আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক ও তারিক ইকরামুল হক, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম ও আসমা মোনেম, বিএপিআইয়ের সাবেক সভাপতি ড. এ এমএম খান, মমিন টি এর আজমত মঈন, পাট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার মোদী, অনন্ত গ্রুপের শরীফ জহির, মার্কেন্টাইল কর্পোরেশনের আজীজ খান, আঞ্জুমান আজীজ খান, আয়েশা আজীজ খান, জাফের উমায়ের খান ও ফয়সাল করিম খান, সি পার্লের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সিরাজুল হক, ইউনাইটেড গ্রুপ অব কোম্পানির হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন, আখতার মাহমুদ, মাসকট গ্রুপের চেয়ারম্যান এফএফ জোবায়দুল হক, সেতু কর্পোরেশনের মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও উম্মে রাব্বানা, স্কয়ার গ্রুপের স্যামসন এইচ চৌধুরী, এছাড়া বিটিএল, ক্যাপ্টেন এম এ, এফএম জোবায়দুল হক, সালমা হক, খাজা শাহাদাৎ উল্লাহ, মীর্জা ইয়াহিয়া, সৈয়দা সামিয়া মীর্জা, আমিনুল হক, তারেক একরামুল হক, জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদ, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ সিরাজুল হক ও জুলফিকার হায়দার।

বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা দাখিল করতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত