কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ, প্রাণনাশেরও হুমকি

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:১১

সাহস ডেস্ক

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী পর্যটক। অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে তিন যুবক তাকে ধর্ষণ করেন। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেজর মেহেদী হাসান ওই নারীর বরাত দিয়ে বলেছেন, গত মঙ্গলবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তারা। শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে রুম নিয়ে ওঠেন ওই নারীর পরিবার।

ওই নারীর ভাষ্য- বিকেলে সপরিবারে লাবনী পয়েন্টের সৈকতে ঘুরতে যান তিনি। এ সময় অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন মিলে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তিন যুবক তুলে নিয়ে যায়। একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে একটি রিসোর্টে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। পরে দুর্বৃত্তরা কক্ষের দরজা বাইরে থেকে লক করে চলে যায়। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় ওই তিন যুবক।

ওই নারী বলেন, এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি দরজার লক খোলেন। তখন তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন। সেখান থেকে বলা হয় থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য। তারপর এক ব্যক্তির সহযোগিতায় র‍্যাব-১৫-তে কল দেন তিনি।

র‌্যাবের সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। তার পর থেকে ছায়াতদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ওই নারীকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা হবে।

সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, একজন নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। থানায় মামলা হলে তদন্ত করে অপরাধীকে ধরার চেষ্টা করব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত