ইকবাল হোসেন: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা মূল সন্দেহভাজন রিমান্ডে
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৫:১৯
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2021/10/23/image-73920.jpg)
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত। এ সময় ইকবালের তিন সহযোগীকেও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সন্দেহভাজনদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপা।
ইকবাল হোসেনের তিন সহযোগীরা হলেন- ঘটনার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা একরাম, দারোগাবাড়ি মাজারের তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ হুমায়ুন এবং ফয়সাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এম তানভীর আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল ১৩ অক্টোবর রাতে রামায়ণ মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র হনুমানের মূর্তির হাত থেকে গদা চুরি এবং সেখানে কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, ইকবাল জানিয়েছে, সে চুরি করা হনুমানের গদাটি পাশের একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।
এর আগে ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় নয় মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সাহস২৪.কম/এসকে.