সিনহা হত্যা মামলায় পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১২:১৯

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত পঞ্চম ধাপের প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ রবিবার (১০ অক্টোবর)  যা চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে হাজির করা হয় । এরপর সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে ২১তম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিচারিক কার্যক্রম।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম এসব তথ‌্য জানান। গত ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর মামলার চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। 

মামলার চতুর্থ ধাপের প্রথমদিন মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫তম সাক্ষী ছেনুয়ারা বেগমকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওই দিন আলী আকবর ও হামজালালের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় তবে হামজালালের জেরা বাকি থাকে। চতুর্থ ধাপের শেষ দিন বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হামজালালকে জেরা দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ফরিদুল মোস্তফা, সালেহ আহমেদ এবং বেবি বেগমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মাধ্যমে ওই মামলার চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণের সমাপ্তি হয়। তবে বেবি বেগমের জেরা বাকি রয়েছে। 

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, বেবি বেগমের বাকি থাকা জেরার মাধ্যমে আজকের সাক্ষ‌্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে। এছাড়া, সমন জারি হওয়া অন্যান্য সাক্ষীদের জবানবন্দি ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা হবে। আজ ৮-৯ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

প্রসঙ্গত, সিনহা হত্যার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায় ও একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

সাহস২৪.কম/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত