জনগণের পাশে দাঁড়াতে দলীয় কর্মীদের আহবান জানালেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৭:১৩

সাহস ডেস্ক

‘দূর্যোগে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই মানুষের মধ্যে মানবিকতা ফুটে ওঠে। তাই সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবানরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।’

আজ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান।

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সকলের সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজের নয়, পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগত থেকে ছিটকে দিতে পারে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার নিয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।

এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে সকল এলাকায় পানি প্রবাহ বেড়েছে, সে সকল এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ এবং সঙ্কটে আওয়ামী লীগই সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। যারা মিডিয়ায় কথামালার ঝড় তোলে তারা জনগণের দুঃখ দুর্দশা থেকে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি নেতাদের- ‘মেগাপ্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে করোনার জন্য অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা হোক’ বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছে। এক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোন ঘাটতি নেই এবং হবেও না।

তিনি জানান, করোনার টিকা সংগ্রহসহ সকল সম্ভাব্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী বিধি-বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে অত্যন্ত উদার।

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি বলে বিএনপি এখন মেগা প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা তাদের সময়ে উন্নয়নের নামে করেছে লুটপাট।’

কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। করোনাকালেও বেড়েছে রপ্তানী আয়। তাই মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কাট-ছাটের উদ্ভট প্রস্তাব উদ্দেশমূলক।

সাহস২৪.কম/সজিব তুষার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত