টার্মিনাল ছাড়া কেউ টোল আদায় করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ২০:১৯

সাহস ডেস্ক

ইজারাকৃত জায়গায় স্থানীয় সরকার পরিচালিত নির্ধারিত ফি ও টোল টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে চাঁদা আদায় করতে পারবে না, যত্রতত্র এটা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, বিভিন্ন ধাপে চাঁদা দিতে হয়। এটার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও জড়িত- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদা বাণিজ্যের কথা আমি বলব না, আমি বলবো একটা টোল আছে, সেটা দিতে হবে। সেটা কোথা থেকে নেবে, কীভাবে এবং কত টাকা নেবে সেটা নির্ধারিত হবে। সেই জায়গা ছাড়া এই টোল কেউ নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, পরিবহনের যে চাঁদা, যেটা মালিক শ্রমিক কিংবা মালিকরা বা শ্রমিকরা নিয়ে থাকে সমিতি চালানোর জন্য সেটাও নির্ধারিত রয়েছে, সেটাও বাস টার্মিনাল বা যেখান থেকে বাস ছাড়ে, এর বাইরে কেউ নিতে পারবে না।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দেখা যায়, ঠিকাদারের নামে বিভিন্ন সিগন্যালে রানিং গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়া হয়- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা আমরা জানিয়ে দিচ্ছি, যে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বসে তাদের জানিয়ে দেবে এ সব চাঁদাবাজি কিংবা যত্রতত্র কালেকশন যাতে না করে নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া।

তিনি বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের মালিকপক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেটা দেয়ার জন্য মালিক ও শ্রমিক পক্ষ আজ উপস্থিত ছিল। তারা দুই পক্ষ নিজেরা বসে এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’

গত ২৩ ডিসেম্বর যে মিটিং হয়েছিল সেখানে আজকের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ছয় মাসে কেন বাস্তবায়ন হয়নি- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সড়ক আইনের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে আছে, মালিকদের অবশ্যই নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেই আইনটি পাস হয়েছিল। সেটি পরিশুদ্ধ করে আবার পার্লামেন্টে আসছে। এটা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। আমরা দীর্ঘ আলাপ করেছি। চালক ও শ্রমিকরা বিভিন্ন সময় জায়গা পাল্টায়। এক মালিক থেকে আরেক মালিকের কাছে চলে যায়। নানান ধরনের কথাবার্তা আসছে। সেজন্য বলে দিয়েছি, দু’পক্ষই বসে খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা করে দিতে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত