৫০ লাখে সরকারী কর্মকর্তারা কিভাবে ক্লাবের মেম্বার হয়

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২১, ১৬:১১

সাহস ডেস্ক

ঢাকা বোট ক্লাব কারা বানিয়েছেন, সেখানে কী হয়, সদস্য কারা তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, অনেক সরকারি কর্মকর্তা এসব ক্লাবের মেম্বার। কীভাবে তারা এই সমস্ত ক্লাবের মেম্বার হয়? আমরা তো চিন্তাও করতে পারি না যে, ৫০ লাখ টাকা জীবনে কামিয়েছি, এইটা দিয়ে মেম্বার হব। তারা কীভাবে? কী করে মেম্বার হয়?

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদে এসব প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের অনিয়ম সুরাহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। বোট ক্লাব ও অন্যান্য ক্লাবের ভেতরে কী ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু অনির্ধারিত বিষয়ে আলোকপাত করেন। চুন্নু বলেন, এই বোট ক্লাব কারা করল? একেকটা ক্লাবের মেম্বার হতে ৫০-৬০ লাখ টাকা খরচ হয়। তারপরও সরকারি কর্মকর্তারা কী করে এইসব ক্লাবের মেম্বার হয়? এই ক্লাবের ভেতরে কী হয়? আমি যতটুকু জানি, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়; জুয়া খেলা হয়। বারের লাইসেন্স আছে। কিন্তু যারা মদ খাবে, তাদেরও তো লাইসেন্স থাকতে হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, ঢাকা ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবে গ্যালনের পর গ্যালন মদ বিক্রি হয়। এগুলো কারা খায়? এরা সবাই কি লাইসেন্সধারী? যদি লাইসেন্সধারীরা খায় তাহলে এত খাওয়ার কথা নয়।

রাজধানীতে ডিজে পার্টির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুলশানে বিভিন্ন বাড়িতে ডিজে পার্টি হয়। এই যে এয়ারপোর্টে অ্যারেস্ট হলো, পত্রিকায় দেখলাম, যাদের অ্যারেস্ট করা হলো, সেটাও নাকি একটা ডিজে পার্টি ছিল রাতে। এই ডিজে পার্টিগুলোতে কী হয়? সেখানে নেশা করা হয়, মদ খাওয়া হয়, ড্যান্স হয়, যেগুলো আমাদের আইনে নেই, কালচারে নেই, যেটা আমাদের ধর্মে নেই।

ডিজে পার্টি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, আপনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এই সমস্ত ডিজে, গুলশানে যে ড্যান্স হচ্ছে, কেন হচ্ছে? কেন এই সমস্ত বন্ধ করা হবে না? এসব স্থানে যারা যাচ্ছে, তারা কারা? কারা এত টাকা দিয়ে মেম্বার হয়? এই মদ যে বিক্রি হয়, লাইসেন্সধারীরাই কি খায় না লাইসেন্স ছাড়া অন্যরা খায়, এগুলো একটু দেখা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, পাবলিক পারসেপশন তৈরি হয়েছে, বড়লোকরা যা করে, তার কোনো বিচার নেই। গ্রামে-গঞ্জে একটু মদ খেলে পুলিশ অ্যারেস্ট করে। কিন্তু ক্লাবে গিয়ে লাইসেন্স ছাড়া মদ খেলে পুলিশ অ্যারেস্ট করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব বিষয়টি দেখার জন্য।

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, উত্তরার বোট ক্লাবটার যে জায়গা তার মালিক একজন আছেন। তিনি জায়গার দখল পাচ্ছেন না। এই ক্লাব জোর করে করা হয়েছে। এগুলোও দেখা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত