সেন্টমার্টিনের পর্যটক জেটি লণ্ডভণ্ড, কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২১, ১৮:২৪

সাহস ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের একমাত্র পর্যটক জেটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। জোয়ারের পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে দ্বীপের ৫০টি বাড়িঘর। এছাড়া দ্বীপের চারদিকে ব্যাপক ভাঙনের পাশাপাশি সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১৫টি পর্যটন রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) সকালে উত্তাল সাগরের ঢেউ আঘাত হানলে জেটির অধিকাংশ পন্টুন, রেলিং ও সিঁড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানির উত্তাল ঢেউ জেটিতে আঘাত করতে থাকে। এতে জেটির পন্টুনে ফাটল দেখা যায়।

এছাড়াও কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার শহরতলি, সদর উপজেলার গোমাতলীর ইসলামপুর, পেকুয়া উপজেলার মগনামা, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ৪৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিশেষ করে কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাব ও পূর্ণিমা জোয়ারে কুতুবদিয়া দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা বাড়িঘর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়েছে। দ্বীপের ৮ হাজার মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ণিমা থাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত