ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় হামলা, সংঘর্ষের পর ২ লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২১, ১৫:৫৯

সাহস ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের হরতালকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুজনের একজন হলেন সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাটিহাতা গ্রামের হাদিস মিয়া ওরফে কালন মিয়া (২৩)। তাঁর বাবার নাম আলতাব আলী ওরফে আলতু মিয়া।

রবিবার (২৮ মার্চ) সরাইলে পুরো সড়ক–মহাসড়ক সকাল থেকেই হরতাল–সমর্থক হেফাজতের কর্মী ও তাঁদের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে আছে। লাঠিসোঁটা হাতে তারা অবস্থান নিয়ে আছেন।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মাওলানা আবদুর রহিম (৩৮) বলেন, আমার ভাই পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। লাশ আমাদের বাড়িতে আছে।

নিহত আরেকজন হলো উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের সুফি আলীর ছেলে আল আমীন (১২)। আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার আধা ঘণ্টা পর সে মারা যায়। কুট্টাপাড়া গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেক মিয়া ও প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক আল এমরান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রানা নুরুশামস হাসপাতালে শিশু আল আমীনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। একই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত আলী দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তরুণের লাশ তাঁর স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। আর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে খাটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলা করেন হরতাল–সমর্থকেরা। তারা থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) আনিছুর রহমান বলেন, সরাইল উপজেলায় উত্তপ্ত অবস্থা থাকলেও মহাসড়ক ছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হাইওয়ে থানায় হামলায় অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সেখানকার পুরো তথ্য এখনো জানা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত