ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন, প্রেসক্লাব-ট্রেনে হামলা

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২১, ১৫:০১

সাহস ডেস্ক

হেফাজতে ইসলামের হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ও খুঁটি ফেলে অবরোধ করেন মাদরাসাছাত্ররা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সম্পদ।

এছাড়া শহরের ফুলবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাসভবনে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে, পৌরসভায়, জেলা পরিষদ, প্রেসক্লাবে, দক্ষিণ মৌড়াইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের বাড়িতে, সরকারপাড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

পরিষদ ভবনে ১১টার পর আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ ধীরন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলা চলছে। সেই মেলাতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, এরপর হরতাল সমর্থকরা কুমারশীল মোড় এলাকায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে আগুন দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুর করেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মী সমর্থকরা। ইটপাটকেলের আঘাতে ট্রেনের ভেতরে থাকা অন্তত ১০ যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালকের (গার্ড) বরাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শোয়েব আহমেদ বলেন, রেলপথে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হলে ট্রেনটি দক্ষিণ পৈরতলা রেলগেট এলাকায় থামে। এরপর হরতালকারীরা ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তারা দৌড়ে ট্রেনটির কাছে এসে ইঞ্জিনসহ প্রতিটি বগিতে হামলা ও ভাঙচুর করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আশপাশের ড্রেন থেকে কংক্রিটের স্ল্যাব উঠিয়ে রেললাইনে রাখা হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। স্টেশনের কাছের রেলগেটের ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের ক্ল্যাম খুলে ফেলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত