১৭ মার্চ

শহীদ নেতা-কর্মীদের প্রতি জাসদের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২১, ২১:৩৩

সাহস ডেস্ক

১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিন্টু রোডের বাসভবনে জাসদের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে তৎকালীন রক্ষীবাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত শহীদ জাফর, জাহাঙ্গীর, সফিউল্লাহ, মোজাম্মেল, প্রদীপ চন্দ্র, মাহফুজউল্লাহসহ জাসদের শহীদ নেতা-কর্মীদের স্মরণ ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আজ কর্মসূচি পালন করেছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় জাসদ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করে ১৭ মার্চের জাসদের শহীদ নেতা-কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল আকতার, বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মীর্জা মোঃ আনোয়ারুল হক, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনির হোসেন, দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার খোরশেদ, জাতীয় যুব জোটের সহ-সভাপতি আমিনুল আজিম বনি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন খোকন, সদস্য তছিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননী, সহ-সভাপতি মাসুদ আহাম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল রাজবংশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পাল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ বিল্লাহ।

এরপর সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে নেতৃবৃন্দ ১৭ মার্চের জাসদের শহীদ নেতা-কর্মীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাসদ সব সময়ই জাতীয় প্রয়োজন ও দেশের প্রয়োজনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনৈতিক নীতি-কৌশল নির্ধারণ করে। জাসদের নেতা-কর্মীরা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে জীবন দিতে দ্বিধা করে না।

তারা বলেন, জাসদ দেশের প্রয়োজনে, জাতীয় প্রয়েজনেই ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন আওয়ামী লীগ ও বাকশাল সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করে গণআন্দোলন পরিচালনা করেছিল। জাসদ ২০০১ সালের পর থেকে দেশের প্রয়োজন, জাতীয় প্রয়োজনেই ইসলামী রাষ্ট্র, খেলাফত, শরিয়া আইন কায়েমের জন্য ধর্মান্ধ-মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনার বিএনপি-জামাতের রাজনীতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাথে কৌশলগত রাজনৈতিক ঐক্য করেছে।

তারা আরো বলেন, জাসদ রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্যেই দলের নিজস্ব রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে, নিজস্ব পতাকা উর্ধে তুলে ধরেই জনগণের কণ্ঠস্বর হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত