হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার পরীক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৯

সাহস ডেস্ক

কঠোর হাতে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে দেশের সবখানে হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার পরীক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবারের মান পরীক্ষা করে যেভাবে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া হচ্ছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে তা সারা দেশে চালু করতে বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

ভেজাল বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন তাদের বোঝানো, তাদের ভেতরে সচেতনতা সৃষ্টি, অপরদিকে কঠোর হস্তে সেটা দমনও করতে হবে। দুই দিকেই ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবে দরকার। সেই ব্যবস্থা আপনাদের নিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, এটা খুব ভালো যে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট-হোটেলে খাবারের মান পরীক্ষা করে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া হচ্ছে, মনিটরিং করা হচ্ছে। রাজধানীর পাশাপাশি পুরো দেশেই এটা হওয়া দরকার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য যা সহযোগিতা করা দরকার করবো। এর জন্য টাকা লাগবে। অর্থমন্ত্রী আমার পাশে আছেন। সমস্যা নাই। তিনি এটা দেখবেন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য যা প্রয়োজন সব করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই পয়সা বেশি কামানোর জন্য এরা ভেজাল দিতেই থাকে। পচ-গন্ধ খাবার দিতে থাকে। খাবারের মানটা ঠিক রাখার খরচ যেটা পড়েছে সেই দামটা হয়তো রাখলো, সেই সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু ভেজাল যাতে দিতে না পারে সেটা নজরদারি করতে হবে। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকাল অনলাইনে অর্ডারের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় খাবার যাচ্ছে। ফুড সাপ্লাই হচ্ছে। এটা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা দেখা দরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যা যা করার প্রয়োজন সেটাই করবো। ১০০টা খাদ্য শিল্পে যে ফুড সেফ প্ল্যান বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা সারা বাংলাদেশেই করা উচিত। ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে, একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এটা নিয়ে যেতে হবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যত বাড়ছে, মানুষ যত বেশি কাজে ব্যস্ত হবে, তত বেশি এটার প্রয়োজনও হবে। কাজেই সেই গুণাগুণ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি হবে। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে বিভাগীয়ভাবে করা প্রয়োজন। কারণ আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানে শিল্পায়ন হবে। এই শিল্পায়নে আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমাদের যে নদী-নালা খাল বিল রয়েছে, তাছাড়া এখানে মৎস্য পালনের সাথে পশু পালন অন্যান্য তরি-তরকারি-সবজি উৎপাদন করতে পারি। কিন্তু আমরা যদি এটা বিদেশে রফতানি করতে চাই, তাহলে ল্যাবরেটরি টেস্টিং তার সার্টিফিকেট নেওয়া এটা একান্তভাবে অপরিহার্য।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত