বিদেশি মিশনগুলোয় ব্যাখ্যাপত্র পাঠিয়েছে মিয়ানমার

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:২৭

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমারের নতুন সামরিক প্রশাসন দেশের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে কথিত কারচুপির পরিপ্রেক্ষিতে সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসাবে সেনাবাহিনীর ক্ষমতার গ্রহণের ন্যায্যতা তুলে ধরার প্রয়াসে বাংলাদেশ দূতাবাসসহ নেপিডোস্থ সমস্ত বিদেশি মিশনে চিঠি পাঠিয়েছে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চিঠিটি পেয়েছি (পাশাপাশি)। তারা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে (মিয়ানমারে) চিঠিটি দিয়েছে।”

তিনি বলেন, মিয়ানমারের নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে যে গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে প্রায় ১০.৪ মিলিয়ন জাল ভোট পড়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির ডি-ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চিকে আটকে রেখে গত সোমবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে এবং এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এরআগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে চিঠিটি মিলিটারির কমান্ডারের অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নয়।

মোমেন জানান, ঢাকা যথাসময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নতুন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া চীন একটি ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হতে হাত বাড়িয়েছিলো।

এদিকে, সীমান্তের ওপার থেকে প্রাপ্ত সংবাদ থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডাররা শুক্রবার রাখাইনে পরপর তৃতীয় দিনের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আবাসস্থল পরিদর্শন করেছে।

প্রতিবেদন থেকে মনে হয়, ২০১৭ সালের নির্মম সেনা অভিযানের ফলে ১০ লাখ লোক বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পর নতুন করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের কারণে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট উদ্বেগকে সামরিক কমান্ডাররা দৃশ্যত দূর করার প্রচেষ্টা চালায়।

সেই সময়কার পরিস্থিতি বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত এসব মানুষকে কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী স্থানে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় তিতে বাধ্য করে। তবে বাংলাদেশ একইসঙ্গে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

বাংলাদেশ এপর্যন্ত প্রতিবেশী দেশটিকে ৮,৩০,০০০ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক তথ্য সরবরাহ করেছে। তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এপর্যন্ত তাদের মধ্যে ৪২,০০০ জনের তথ্য যাচাই করেছে।

মিয়ানমার অবশ্য এপর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। রাখাইন রাজ্যে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার ঘাটতির কারণে দুইবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত