ইউল্যাব শিক্ষার্থীর নিখোঁজ বান্ধবী নেহা পাঁচ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৩৩

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহাকে বৃহস্পতিবার রাতে আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর বাবার করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলায় মোট তিনজন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে গেলেন।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নেহাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি শাফায়াত জামিল জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় ভুক্তভোগীর দুই বন্ধু মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিন আদালতে হলফনামা দিয়ে মামলায় সম্পৃক্ততার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শাফায়াত। হলফনামায় শাফায়াত দাবি করেন, গত ২৮ জানুয়ারি বন্ধু আরাফাতের নিমন্ত্রণে উত্তরার সুইট রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তিনি। রেস্টুরেন্টে আরাফাত ও তার আরেক বন্ধু মুর্তজা রায়হান চৌধুরী তার বান্ধবীকে নিয়ে আসেন।

মুর্তজা ও তার বান্ধবীর পূর্বপরিচিত ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তারা হালকা নাস্তার পর মদ পান করে চলে যান। আমি অসুস্থ বোধ করলে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় চলে যাই। ৩০ জানুয়ারি আরাফাত মারা যান।

গণমাধ্যমে মুর্তজা রায়হানের বান্ধবীর মৃত্যুর কথা জেনেছেন দাবি করে শাফায়াত বলেন, ‘এরপর পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আমার বাসায় অভিযান চালায়। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আরাফাতসহ চারজন ও অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যেহেতু পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আমার বাসায় অভিযান চালায়, সেহেতু অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আমি নিজেকে সন্দেহ করছি। আমি নিজেকে এ মামলায় সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত