আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি মিথ্যা: বাংলাদেশ সরকার

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:১৩

সাহস ডেস্ক

লন্ডন এবং অন্য কোথাও থেকে চরমপন্থী ও তাদের মিত্রদের চালানো মরিয়া ‘নোংরা প্রাচারণা’ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেই সাথে সরকার আফসোস প্রকাশ করে বলেছে, অসাধারণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতির প্রমাণিত নজির থাকা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে তাদের কূট রাজনৈতিক অভিসন্ধির জন্য আল জাজিরা নিজেদের হাতিয়ার হাতে দিয়েছে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার আল জাজিরা সংবাদ চ্যানেলের ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক মিথ্যা ও মানহানীকর প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলে, এ প্রতিবেদনটি কটাক্ষ ও পরোক্ষ ইঙ্গিতের বিভ্রান্তিকর ধারাবিবরণী ছাড়া আর কিছুই নয়। যা দৃশ্যত জামায়াতে ইসলামী চরমপন্থী গোষ্ঠীর সহযোগী কুখ্যাত ব্যক্তিদের চালানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘নোংরা প্রাচারণা’। যে গোষ্ঠী ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই এর প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করে আসছে।

প্রতিবেদনের ঐতিহাসিক অংশটি এমনকি ১৯৭১ সালের ভয়াবহ গণহত্যার কথা উল্লেখ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। যেখানে জামায়াতের দুষ্কৃতিকারীরা লাখ লাখ বাঙালি বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা এবং দুই লাখের অধিক বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করেছিল। এটা তুলে না ধারা আল জাজিরার সংবাদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রতিচ্ছবি ছাড়া আর কিছু নয়, বলা হয় বিবৃতিতে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহতদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার দায়ে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শাস্তি পাওয়া ডেভিড বার্গম্যানের প্রতিবেদনটির প্রধান ভাষ্যকার থাকার বিষয়টিও বিবৃতিতে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয় যে আল জাজিরার অভিযোগগুলোর মূল ‘উৎস’ একজন অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধী যাকে আল জাজিরা নিজেই ‘মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত’ বলে দাবি করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে এই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সংযোগের এক ফালি প্রমাণও নেই। একজন মানসিকভাবে অস্থিতিশীল ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে উপসংহার টানা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ চ্যানেলের জন্য অত্যন্ত দায়িত্বহীনতা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটা অবাক করার মতো নয় যে এ প্রতিবেদনের সাথে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের মিল রয়েছে। যা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু দোষী সাব্যস্ত পলাতক অপরাধী ও নিন্দিত ব্যক্তি অভ্যাসগতভাবে চালিয়ে থাকেন। যেখানে কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চরমপন্থী গোষ্ঠী ও সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে আল জাজিরার সাথে ষড়যন্ত্র করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত