কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের দাফন আজ

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৪২

সাহস ডেস্ক
রাবেয়া খাতুন

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনকে আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। চ্যানেল আইয়ের অ্যাসাইন্টমেন্ট এডিটর আরেফিন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) তিনি জানান, বিকেল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাবেয়া খাতুনের মরদেহ রাখা হবে।

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আজ বিকেলে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার স্বামী প্রয়াত এটিএম ফজলুল হক ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালকও তিনি। ১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যে রয়েছেন, ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

রাবেয়া খাতুন স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে পৃথক শোক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এবং উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

রাবেয়া খাতুন সাহিত্যের সকল শাখায় সফলভাবে বিচরণ করেছেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারেও। বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রাবেয়া খাতুন। ১৯৩৫ সালে বিক্রমপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতা এবং সাংবাদিকতাও করেছেন।

উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ ছিল রাবেয়া খাতুনের। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টিও প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে।

বাংলা একাডেমি, চলচ্চিত্র জুরী বোর্ড, লেডিস ক্লাব, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, মহিলা সমিতিসহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন রাবেয়া খাতুন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত