প্রয়োজনে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা: সিইসি

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫০

সাহস ডেস্ক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবেও বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জেনেছি। কমিশনারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছি। করণীয় বিষয়ে আমরা নির্ধারণ করেছি। আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ-কালকের মধ্যেই তা যাবে।

তিনি বলেন, সিইসি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার সময় একজন সংসদ সদস্য যে আচরণ করেছেন, তা কাম্য নয়। তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন এবং আইনে যে বিধিবিধান আছে, তার ব্যাপারে সেই বিধান প্রযোজ্য হবে পরিপূর্ণভাবে। সংসদ সদস্য হিসেবে এ ব্যাপারে আলাদাভাবে কোনো কিছু হবে না।

সিইসি বলেন, আগে নির্বাচনে দু-একটি জায়গায় সংসদ সদস্যরা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, আমরা ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা আর যাননি। ফরিদপুরে তিনি গেছেন। আইনে যা আছে আমরা সেই অনুযায়ী তার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবো। এখানে ব্যক্তি কী তা আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আইন ভঙ্গ করেছেন, তাই যেভাবে যেটা করণীয় তা করবো।

এদিকে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সন্মেলনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, আমি যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকি, তাহলে জেলা প্রশাসকও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বক্তব্য এডিট করে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কাজ করা হয়েছে। ডিসির নির্দেশেই এসব কল রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত কল রেকর্ডের ভয়েস তার না দাবি করে এমপি নিক্সন বলেন, জেলা প্রশাসক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করেছেন। এছাড়া যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তার কথোপকথোনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে তার সঙ্গে মধুর এবং ভাই-বোনের সম্পর্ক বলেও দাবি করেন নিক্সন চৌধুরী।

নির্বাচনের আগের দিন বেশ কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে নিক্সন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। বিএনপির প্রার্থীকে জেতানোর জন্যই অতিরিক্ত ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেয়া হয়।

এদিকে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘গালিগালাজ ও হুমকির’ ঘটনায় ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরীর) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত