নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে: কাদের

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৫৭

সাহস ডেস্ক

তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সম্মানজনক সমাধানে আশাবাদী বাংলাদেশ ও ভারত। ইতোমধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১২ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সকাল ১১টায় সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে বৈঠক করেন দুজন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হলে দু-দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান সহজতর হয়। এ বাস্তবতায় ইতোমধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো সমস্যাও সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশের অর্জিত সমুদ্রসীমায় অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে দু-দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এবং দু-দেশ এ নিয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, দু-দেশের সরকার এবং পিপল-টু-পিপল কন্টাক্ট বাড়াতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অত্যন্ত উদার এবং ভবিষ্যতমুখী। একুশ বছর দু-দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল, তা এখন আর নেই।

কাদের আরও বলেন, দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ এগিয়ে নিতে হাইকমিশনার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আমরাও সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক।

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে অপরাধীদের মধ্যে একটি ভীতিও থাকবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। আমার মনে হয়, মানুষের মনের ভাষা প্রধানমন্ত্রী বোঝেন। এটি এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের এ দাবিকে অবশ্যই আমরা স্বীকৃতি দেবো। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে সবার মধ্যে একটি ভীতিও থাকতে পারে। যেভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে, এ ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত